যশোরের চৌগাছা বাজারে ভয়াবহ আগুনে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট দুঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকতা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়কে টিএনটি অফিসের পূর্বপাশে ২টি ফার্নিচার ও ১টি লেদ ঘরে আগুন ধরে যায়। পথচারীরা আগুন দেখে চৌগাছা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলের আশপাশে পানি না থাকায় পানি স্বল্পতার কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চরম বেগ পেতে হয়। একপর্যায়ে চৌগাছা ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ যশোর ক্যান্টমেন্ট ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষতিগ্রস্ত ফার্নিচার ও লেদ ব্যবসায়ী পৌর এলাকার পাঁচনামনা গ্রামের রমজান আলীর প্রায় ১৫ লাখ এবং অপর ফার্নিচার ব্যবসায়ী রিপন হোসেনের প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। রমজান আলীর স্বজনরা জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমরা সবাই ঘটনাস্থলে এসে শুধু দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। ওই রাতেই রমজান আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন, বর্তমানে তিনি চৌগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন, ওহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, বিপুল হোসেন বলেন, মাহে রমজানের প্রথম তারাবি, সে কারনে আমরা কিছুটা আগে ভাগে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চালে যায়। রাত ১১টার দিকে জানতে পারি রমজান আলী ও রিপনের দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

চৌগাছা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, যেখানে আগুনের সূত্রপাত তার চারিপাশে কোথাও পানি নেই। পানি সংকটে আগুন নিয়ন্ত্রণে চরম বেগ পেতে হয়েছে, একপর্যায়ে যশোর ক্যান্টমেন্ট ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দুটি ইউনিট ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত এবং অগ্নিকান্ডে ব্যবসায়ীদের আনুমানিক ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।

"