ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন বামনকান্দা নামক স্থানে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে নুর ইসলাম ওরফে কুদ্দুছ (৩০) নামে এক শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শ্রমিকের সহকর্মীরা জানান, ৫ থেকে ৭ মাসের বকেয়া মজুরি চাইতে গেলে ম্যানেজার পিটিয়ে মেরে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছে। ঘটনার পর ম্যানেজার তানভীর পলাতক রয়েছে। কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নুর ইসলাম মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বিক্রমপুর বালাসর গ্রামের মনখুশি মিয়ার ছেলে।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলার বামনকান্দা রেলস্টেশনের রেললাইন প্রকল্পে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক তাহসিন ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

তবে নিহতের সহকর্মী শ্রমিকরা জানান, ৫ থেকে ৭ মাস যাবৎ রেললাইন প্রকল্পে কাজ করা সত্ত্বেও প্রকল্পের ম্যানেজার তানভীর শ্রমিকদের মজুরি দিচ্ছিল না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতন্ডা হয়। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে মজুরি চাওয়ায় এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তানভীর ও তার সহযোগিরা প্রচন্ড নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার পর লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।

শ্রমিকরা জানান, তাদের ৫ থেকে ৭ মাসের মজুরি বকেয়া। এতে শ্রমিকরা অর্থকষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং মানসিক অশান্তিতে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষের কাছে বাববার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলে তাদের অভিযোগ। সকালে ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

"