সুনামগঞ্জের ছাতকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৪ দিন পরও থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করেনি। এতে হামলায় আহতদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন, তারা চরম আতঙ্কে আছেন। যেকোনো সময় আবারও হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

ওই আহতরা হলেন জাহানারা বেগম (৬০), লাভলী বেগম (৩৫), সুহেল আহমদ (৪৩), ইমরান আহমদ (২৯)। জাহারারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউপির শিবনগর (সিংগুয়া) গ্রামে শরিয়ত আলীর ছেলে ইমরানের বাড়ির রাস্তা নিয়ে একই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে সাজু মিয়ার সঙ্গে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে ১১ মার্চ ইমরানের বাড়িতে দেশি অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত দু-দফা হামলা চালায় সাজু মিয়ার একদল সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা ইমরানের বসতঘরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে ঘরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। বাড়ির মহিলাসহ চারজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে ও নগদ টাকাসহ মালামাল লুটে নেয়। এ সময় মহিলা ও পুরুষদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে ছাতক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। আহতদের মধ্যে বৃদ্ধা মহিলা জাহানারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ছাতক হাসপাতাল থেকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ১২ মার্চ রাতে আহত ইমরান আহমদ বাদী হয়ে সাজুসহ ৭ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ১৩ মার্চ বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও তাৎক্ষণিক কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

থানার ওসি খাঁন মোহাম্মাদ মাঈনুল জাকির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ ব্যাপারে বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তক্রমে মামলা নেওয়া হবে। আসামিও ধরা হবে।

"