মুহাম্মদ মুছা মিয়া, মাধবদী (নরসিংদী)

  ১৪ মার্চ, ২০২৩

পাওনা টাকা চাওয়ায় চুরির অপবাদ, শ্রমিককে নির্যাতন

নরসিংদীর মাধবদীতে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে এক তাঁতশিল্প শ্রমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ করেছেন নরসিংদী সদর উপজেলা পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুরের চর তাঁতশিল্পের শ্রমিক আমজাদ হোসেন। তিনি জানান, পাওনা টাকা চাওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।

শ্রমিক আমজাদ প্রতি সপ্তাহে যে টাকা বেতন হিসাবে পান তার একাংশ কারখানা মালিক আশরাফুল ইসলাম খোকনের কাছে জমা রাখেন। এভাবে জমতে জমতে ৬০ হাজার টাকার মতো হলে খোকনের কাছে টাকা ফেরত চান আমজাদ। এই টাকা চাওয়াতেই সমস্যা দেখা দেয়। টাকা চাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আমজাদের বিরুদ্ধে কারখানার মালামাল ও কাপড় চুরির অভিযোগ তোলেন খোকন। এরপর গত ৮ মার্চ আমজাদকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়।

গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের জন্য মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামের অফিসে উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। সালিস চলাকালীন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের লোকজনই আহত হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহাজন খোকন বাদী হয়ে গত ১২ মার্চ শ্রমিক আমজাদ ও গ্রাম্য মাতবর জসিমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদীর মাধবদী সিআর আমলী আদালতে মামলা করেন।

এ বিষয়ে শ্রমিক আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি খোকনের কারখানার একজন শ্রমিক। এ কারখানায় এক বছর ধরে কাজ করেন তিনি। তিনি খোকনের কাছে ৬০ হাজার টাকা জমা রাখেন। তবে পাওনা টাকা চাওয়ায় খোকন ও তার তিন-চার ভাই মিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে চুরির অপবাদ দিয়ে রড দিয়ে তাকে মারধর করেন।

তিনি বলে, ‘আমি কোনো চুরি করি নাই। এগুলো মিথ্যা বানোয়াট।’ তবে কারখানা মালিক আশরাফুল ইসলাম খোকন বলেন, আমজাত আমার কারখানায় কাজ করত। সে গত ৬ মার্চ আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২টি মোটর ও ৪৫টি চাকা চুরি করে। পরে গত ৮ মার্চ বিষয়টি নিয়ে মেঘনা বাজারে দরবার বসে। দরবারের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়।’ এ বিষয়ে পাইকারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। পরে আবারও বসে মীমাংসা করে দেওয়া হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close