আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না এলপিজি গ্যাস

মমতাজুর রহমান

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)। জানুয়ারি মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ২৩২ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা। এক লাফে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৬৬ টাকা বাড়ালেও উপজেলায় আগে থেকেই ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি টাকা দিয়েও ভোক্তারা গ্যাস সিলিন্ডার পাচ্ছেন না। বিক্রেতারা বলছেন, তারা চাহিদামতো সিলিন্ডার পাচ্ছেন না। এলপিজি কোম্পানিগুলো বলছে, ডলার সংকটে এলপিজির কাঁচামাল আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে না পারায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

আদমদীঘি সদরের শিক্ষিকা রহিমা বেগম জানান, প্রায় ৬টি দোকানে গ্যাস না পেয়ে সপ্তম দোকানে পেলাম সিলিন্ডার, দামও চড়া। তা ছাড়া সিলিন্ডারে ১২ কেজি লেখা থাকলেও এর ওজন পরীক্ষা করা উচিত। কারণ, ২০-২২ দিন গ্যাস ব্যবহার করলেই ফুরিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার একাধিক পরিবেশক ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে অধিকাংশ কোম্পানির সিলিন্ডার নেই। ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার যমুনা ১৫৫০ টাকা, বসুন্ধরা ১৫৭০, ওমরা ১৫৫০, জিএম ১৫২০, বেক্সিমকো ১৫৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সান্তাহার সদর সড়কের খুচরা বিক্রেতা আল আমিন জানান, জানুয়ারি মাসে দুটি কোম্পানির ১০৩টি ১২ কেজির সিলিন্ডার বিক্রি করেছেন। বর্তমানে অগ্রিম টাকা দিয়েও কোম্পানি থেকে চাহিদামতো গ্যাস পাচ্ছেন না।

গ্যাস সিলিন্ডার কোম্পানিগুলো বলছে, তাদের কাছে পর্যাপ্ত এলপিজি গ্যাস নেই। বর্তমানে সারা দেশে এলপিজি গ্যাসের গ্রাহক প্রায় ৫০ লাখ। প্রতি বছর ১৪ লাখ টনের মতো এই গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। ২৬টি বেসরকারি কোম্পানি এসব গ্যাস বাজারজাত করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close