গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ

  ২৪ নভেম্বর, ২০২২

সিরাজগঞ্জে আবারও লাকড়ির চুলার কদর

সিরাজগঞ্জে লাকড়ি চুলার ফের কদর বাড়ছে। বিগত বছরগুলোতে সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘরে ঘরে গ্যাসের চুলা জ্বলতে দেখা গেছে। কিন্তু দফায় দফায় গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে বর্তমানে গ্যাসের চুলার ব্যবহার বহুলাংশে কমে গেছে। অধিকাংশ গৃহিণীরা হাতে বানানো চুলা ব্যবহার করছেন, ফিরে গেছেন আগের পদ্ধতিতে। জানা যায়, ৭৫০ টাকার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ১২৫০ থেকে ১৩৫০ টাকায় ঠেকেছে। তাই গ্যাসের চুলার বিকল্প হিসেবে উপজেলার ঘরে ঘরে গৃহিণীরা হাতে বানাচ্ছেন লাকড়ি চুলা। পাশাপাশি অনেকে কিনছেন বিভিন্ন কোম্পানির বানানো ‘বন্ধু চুলা’। হাটে বাজারেও বিক্রি হচ্ছে লাকড়ির চুলা। প্রতিটি লাকড়ি চুলা এখন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাঙ্গাসী বাজারে মাটির চুলা বিক্রি করতে আসা আবু বক্কার বলেন, আগে সারা দিন বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে ১ থেকে ২টি চুলা বিক্রি করতাম। এখন ৬ থেকে ৭টি চুলা বিক্রি করতে পারছি। তিনি আরো জানান, অনেকে বাড়ি এসে লাকড়ি চুলার বায়না দিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে কামারখন্দ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের গৃহিণী সালমা বেগম জানান, এত দামের গ্যাস কিনে আমাদের পক্ষে রান্নাবান্না করা সম্ভব না। তাই কষ্ট করে হলেও নিজের হাতে বানানো লাকড়ির চুলায় রান্না করছি। তাছাড়া হাতে বানানো চুলায় রান্না করতে তেমন লাকড়ির প্রয়োজন হয় না। গ্যাসের চেয়েও খরচ কম।

উল্লাপাড়া উপজেলা সলপ এলাকার গৃহিণী আলো বেওয়া (৮৭) জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে মাটির চুলায় রান্নাবান্না করছি। জ্বালানি হিসেবে ছিল ঘুটে, পাটখড়ি, বাশের কঞ্চি, গাছের মরা ডাল, খরকুটো আর ঝরা পাতা। পরে এলো গ্যাসের চুলা। কিন্তু এখন দাম বেশি। তাই আগের লাকড়ির চুলাই ভালো।

এ ব্যাপারে চৌহালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন জানান, এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রামে গ্যাসের সংযোগ নেই। গ্যাসের সিলিন্ডার কিনে অনেকে গ্যাসের চুলায় রান্না করত। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ফের ফিরে যাচ্ছে লাকড়ির চুলায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close