প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ অক্টোবর, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রে জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া

আমেরিকায় জিনিসপত্রের দাম দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ১৯৭০ এর পর থেকে সেখানে দ্রব্যমূল্য কখনো এতটা বাড়েনি। মুদি দোকানে যেসব জিনিসপত্র বিক্রি হয়, সেগুলোর দাম গত এক বছরে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আসছে নভেম্বরে আমেরিকায় মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই অবস্থায় মানুষ এখন যে বেতন পাচ্ছে, সেটি দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। সূত্র : বিবিসি বাংলা

বর্তমানে আমেরিকায় এক কার্টন ডিমের দাম তিন ডলারের বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি ৩১৩ টাকার মতো)। ২০২১ সালের শুরুর জো বাইডেন যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন এর দাম ছিল এখনকার চেয়ে অর্ধেক। গরু এবং মুরগির মাংসের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া এক গুচ্ছ কলার দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ‘এটা খুব কঠিন সময়’ বলেন ৭৮ বছর বয়সি এড্ডা চার্বন।

জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করে করোনা মহামারির সময়, যখন মানুষ রেস্টুরেন্টে খাওয়া ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল এবং মুদি দোকানের জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ে। তা ছাড়া করোনা মহামারির কারণে উৎপাদন ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়। উৎপাদনের জন্য কোম্পানিগুলোর যে অতিরিক্ত খরচ হয়, সেটি তারা ভোক্তাদের ওপর ঠেলে দিয়েছে। যেমন তাদের মজুরি বাড়াতে হয়েছিল এবং জ্বালানির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। এরপর চলতি বছরে যখন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সার, গম এবং অন্যান্য শস্যের সরবরাহ বিঘিœত হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে শস্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার জন্য ডিমের সরবরাহ কমে যায়।

রেস্টুরেন্টে খাবার দাম শুধু বেড়েই চলেছে। যদিও মুদি দোকানের জিনিসপত্রের দাম মাঝে মধ্যে কমেছে। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কমে আসার জন্য চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে জোগানও বাড়তে হবে। সেক্ষেত্রে কিছু ভালো খবর আছে। গত কয়েক মাসে জিনিসপত্রের দাম বিশ্বজুড়ে কমেছে। জ্বালানি তেলের দামও কমেছে। এড্ডার মতো অনেকেই কম দামি খাদ্য পণ্যের দিকে ঝুঁকেছেন। খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো যদিও দাম বাড়িয়ে দিয়ে ভালোই মুনাফা করছে, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়ানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close