নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৩ অক্টোবর, ২০২২

ভাঙ্গা-পায়রা রেল কতদূর

এখনো আলোর মুখ দেখেনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণকাজ। রেললাইনটি নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাইলফলক স্থাপিত হবে। পাশাপাশি রেল যোগাযোগ না থাকার অমর্যাদাকর গ্লানি থেকেও মুক্তি পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। এ লক্ষ্যে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে ছয় মাস সময় বাড়িয়ে করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এরপর প্রথম সংশোধনীতে আরো দেড় বছর বাড়িয়ে করা হয় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। নতুন করে আবার ২০২২ সালের জুন নাগাদ করা হয়। কিন্তু জুন পেরিয়েছে তিন আগে; প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাপ্রাপ্ত এ প্রকল্পটি আটকে আছে অর্থায়নের অভাবে।

সম্ভাব্য যাচাইয়ের এ প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৪৯ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যার মধ্যে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকাই খরচ করা হয় পরামর্শক সেবায়। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনে ৮ লাখ, গাড়ি ভাড়ায় ৩৩ লাখ ১৫ হাজার, অফিস স্টেশনারি ও অন্যান্য খরচ ৮ লাখ, সম্মানী ৮ লাখ, ভ্রমণ ভাতা ৪ লাখ এবং প্রকল্প ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের (পিএমইউ) জন্য অফিস উপকরণে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ করা হয়। প্রকল্পটির আওতায় পায়রা বন্দর থেকে আরো ২৪ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের মাধ্যমে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে সম্ভাব্য সমীক্ষাসহ জরিপ ও পথনকশা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি ব্যয় বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রস্তাবিত সিঙ্গেল লেন ব্রডগেজ রেলপথে ১১টি স্টেশনের প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবিত ফরিদপুর বরিশাল-কুয়াকাটা রেলপথে ভাঙ্গায় মূল জংশন থেকে টেকেরহাট, মাদারীপুর, গৌরনদী, বরিশাল বিমানবন্দর, বরিশাল মহানগর, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী, আমতলী, পায়রা বিমানবন্দর ও পায়রা বন্দর হয়ে কুয়াকাটা স্টেশনে গিয়ে শেষ হবে। প্রস্তাবিত ওই রেলপথ নির্মাণে এক শ মিটার প্রশস্ত ২১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রেলপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে। অপর একটি লাইন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় এবং আরেকটি লাইন ভাটিয়াপাড়া থেকে যশোর পর্যন্ত রেলরুটের কাজের অগ্রগতি ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পটির উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, সম্ভাব্য সমীক্ষা জুনেই শেষ হয়েছে, এখন আমরা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অর্থের সংস্থান জরুরি বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তাব পাঠিয়েছে রেলওয়ে আলোচনা চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close