পাবনা প্রতিনিধি

  ০২ অক্টোবর, ২০২২

সাঁথিয়ায় স্বামীর নির্যাতনের বিচার দাবি

পাবনার সাঁথিয়ায় স্বামীকে ‘যৌতুক লোভী, নেশাগ্রস্ত, চরিত্রহীন’ উল্লেখ করে তার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর নাম শামসুন্নাহার। আর স্বামীর নাম রাকিবুল ইসলাম। তিনি পুলিশের সদস্য। শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শামসুন্নাহার এ দাবি করেন। রাকিবুল সাঁথিয়া উপজেলাধীন রুদ্রগাতি গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশে যোগদান করেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত। স্ত্রী শামসুন্নাহার সাঁথিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত আ. হামিদের মেয়ে।

শামসুন্নাহার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি রেজিস্ট্রি কাবিনে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে শরিয়াহ অনুযায়ী আমাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। এরপর থেকেই আমার স্বামী টিকটক করার নাম করে এক একাধিক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এসবের প্রতিবাদ করলে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে আমাকে নির্যাতন করে। আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। অপারগতা প্রকাশ করায় তালাক নামায় স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত ২০/১১/২০১১ তারিখে আমার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে গুরুতর জখম অবস্থায় সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

২০২২ সালের ২০ জুলাই পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে বিনা যৌতুকে সংসার করার অঙ্গীকারে আমার স্বামী তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়েই আবারও স্বামী, শাশুড়ি মিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।

২০১২ সালের ২৩ জুলাই স্বজনরা সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ২৬ জুলাই সাঁথিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি। সেই থেকে অদ্যাবধি, সে আমার এবং মেয়ের কোনো প্রকার সম্পর্ক ও খোঁজখবর রাখেন না। দিন দিন তার পরকীয়ার মাত্রা বাড়তে থাকে। আমি চার বছরের শিশু বাচ্চা নিয়ে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close