নিজস্ব প্রতিবেদক
কামরাঙ্গীরচরে হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। ৩০ বছর মেয়াদি এক সমন্বিত মহাপরিকল্পনার আওতায় এই বাণিজ্যিক অঞ্চল হবে। এর অংশ হিসেবে এখানে ৫০ তলা একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে এ ভবনের নকশা ও অন্য পরিকল্পনা করার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে কামরাঙ্গীরচরে এক নির্বাচনী
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলাকাটিকে বাণিজ্যিক অঞ্চলে রূপান্তর করার নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে ঢাকার সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরের যোগাযোগ সহজ করতে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন করতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নির্দেশনা দেন। এই নির্দেশ অনুযায়ী মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রকৌশলীরা আরো জানিয়েছেন, দক্ষিণ সিটির পরিকল্পনাধীন ৫০ তলা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে থাকবে ৫ হাজার, ৩ হাজার ও ১ হাজার লোকের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পৃথক সেমিনার কক্ষ ও মাল্টিপারপাস হল, প্রদর্শনী কেন্দ্র, পাঁচ তারকা হোটেল, অফিসের জন্য জায়গা, বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য জায়গা, বিপণিবিতান, কনডোমোনিয়াম, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও ফুড কোর্ট এবং সিনেমা হল।
এছাড়া থাকবে বেনকুয়েট হল, অ্যাম্ফিথিয়েটার, অবজারভেশন ডেক ও গাড়ি রাখার জায়গা। ভবনটিতে নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকবে। এটি পরিবেশবান্ধব করে নির্মাণ করার পরিকল্পনা ও পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এই প্রকল্পের জন্য দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও দক্ষিণ সিটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বলেন, ‘এটা বাংলাদেশে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র হবে, যেটা আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। শুধু উচ্চতার জন্যই নয়, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার জন্য একটি সেরা ভবন হবে এটি। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করার জন্য আমরা আহ্বান করেছি। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আমরা আবেদন গ্রহণ করব।’
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের আবেদনপত্র থেকে জানা যায়, সিটি করপোরেশন এই সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই কাজের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা ও নকশা করার জন্য ১৬ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। এছাড়াও বিস্তারিত নকশা, স্পেসিফিকেশন ও ব্যয় প্রাক্কলন করার জন্য ১৬ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন, প্রকল্প প্রস্তাবনার জন্য ১৫ মে থেকে ৩০ জুন এবং দরপত্র প্রস্তুত করা জন্য ১ জুন থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।
"