গাজীপুর প্রতিনিধি

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদনে আমদানির প্রয়োজন হবে না

বর্তমানে দেশে বছরে ১৫ হাজার টন গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্রায় ২০ হাজার টন টমেটো আমদানি করতে হচ্ছে। তবে দেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদন বাড়ানো গেলে কৃষক যেমন লাভবান হবে, একই সঙ্গে আমাদের টমেটো আর আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো উৎপাদন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনস্টিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এ সব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ হচ্ছে। এ বছর আমরা বারির পক্ষ থেকে নিজেদের উৎপাদিত হাইব্রিড টমেটোর বীজ কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছি এবং আগামীতেও আমরা কৃষকদের গুণগত মানসম্পন্ন বীজ তুলে দিতে চাই। আমরা আশা করছি দেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আমরা টমেটো রপ্তানির দিকে এগিয়ে যাব।

বারির সরেজমিনে গবেষণা বিভাগ গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. মাজহারুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসেফ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. মো. জয়নুল আবেদীন, বারির পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী এবং পরিচালক (উদ্‌যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারির সরেজমিনে গবেষণা বিভাগ গাজীপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি বেসড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন।

বারির প্রটোকল অফিসার মো. আল-আমিন জানান, বারির সরেজমিনে গবেষণা বিভাগ গাজীপুরের আয়োজনে এবং বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি বেসড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচির অর্থায়নে আয়োজিত দিনব্যাপী ওই প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বারির সরেজমিনে গবেষণা বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রের ৩০ বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close