সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ, গুরুদাসপুর (নাটোর)

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

গুরুদাসপুরে ৯১ পাখি অবমুক্ত

নাটোরের গুরুদাসপুরে পরিবেশকর্মীরা শিকারির বন্দিদশা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৯১টি পাখি উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করা পাখিগুলো পরিবেশকর্মীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন আমবাগান চত্বরে অবমুক্ত করেন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পাখিগুলো উপজেলার মশিন্দা ও ধারাবারিষা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলা জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে একদল কর্মী উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের চরকাদহ ও মশিন্দা ইউনিয়নের হাঁসমারি গ্রামের মাঠে পাখি উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।

অভিযানে চরকাদহ মাঠে শিকারির জালে আটকা অবস্থায় ১০টি শালিক পাখি ও হাঁসমারি মাঠ থেকে শিকারির তৈরি ফাঁদ থেকে ৭০টি ঘুঘু পাখি উদ্ধার করেন। মাঠ থেকে উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো সেখানেই অবমুক্ত করা হয়।

পরিবেশকর্মীরা হাঁসমারীর গ্রামের পাখি শিকারির বাড়ি থেকে খাঁচাবন্দি শিকারি বক, কোড়া, ডাহুক, ঘুঘুসহ ৭টি পাখি উদ্ধার করেন। পরে খাঁচাবন্দি ১১টি শিকারি পাখি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আমবাগানে অবমুক্ত করা হয়। অভিযানে শিকারের জন্য ব্যবহার করা ৩০০ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ফাঁদ, লোহার ৫০ মিটার ফাঁদ ও ১২টি খাঁচা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এ সময় কোনো শিকারিকে পাওয়া যায়নি।

গুরুদাসপুর উপজেলা জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, চলনবিলসহ উপজেলার নদী, নালা, খাল, বিলে পানি কমতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহে দেশি পাখির সঙ্গে অতিথি পাখির বিচরণ বেড়ে যায়। এ সুযোগে কিছু অসাধু শিকারি বাড়তি আয়ের আশায় পাখি শিকার করে। পাখি শিকার বন্ধে পরিবেশকর্মীরা পাখিগুলো সংগ্রহ করে অবমুক্ত করছেন। শিকারিদের দণ্ডনীয় আইনের বিষয়ে অবগত ও সতর্ক করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন বলেন, পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে আমাদের উপকার করে চলেছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পাখি শিকার বন্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। প্রশাসন ও পরিকেশকর্মীদের মাধ্যমে শিকারিদের পাখি শিকারে নিরুৎসাহিত করা ও আইনি দণ্ডের বিধি সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close