মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

  ১৮ আগস্ট, ২০২২

রাস্তা বেহাল, জনদুর্ভোগ দেখার কেউ নেই

অসংখ্য গর্ত আর বৃষ্টির পানি জমে কাদায় ভরপুর। চলতে গেলে বুঝা যায় না রাস্তা নাকি ফসলের মাঠ। লোকজনের চলাচলের একবারেই অনুপযোগী নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কয়েকবার মাপামাপি করার পর আজ কোনো খোঁজ-খবর নেই। পথচারী ও যানবাহন চলাচলের এই জনদুর্ভোগের কারণ দুই কিলোমিটার রাস্তা এখন গ্রামবাসীর গলার কাঁটা। তারা দুঃখ করে বলেছেন এই রাস্তা এখন আমাদের কষ্টের কারণ, রাস্তার এই বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। তবে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে বরাদ্দ পেলে এ রাস্তা ঠিক করা হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসের তথ্য মতে, রাস্তারটি পাকাকরণের জন্য আইডি নম্বর রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা নেতারা উদ্যোগ না নেওয়ায় পাকাকরণ হচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত দুই বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে আওতায় ওই রাস্তাটির সংস্কারে নামে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। কিন্তু বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বাগজান গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার বসবাস করেন। গ্রামে একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মদন-ফতেপুর জিসিসিআর পাকা সড়কের সঙ্গে বাগজান গ্রামকে সংযুক্ত করেছে এই কাঁচা রাস্তাটি। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনই এ রাস্তায় যাতায়াত করছেন শত শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন।

বাগজান গ্রামের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, রুমান, পিপুলসহ অনেকেই বলেন, আমাদের দুর্ভোগ দেখার কেউ নাই। বইপত্র নিয়ে প্রতিদিন খুবই কষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর বৃষ্টি এলে কাদা রাস্তা দিয়ে কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে যায় না। আমরা চাই রাস্তাটি যেন সরকার দ্রুত পাকা করে দেয়।

তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান জানান, কাঁচা রাস্তাটির কারণে বাগজানের গ্রামের লোকজন দুর্ভোগে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, বাগজান গ্রামের রাস্তাটির আইডি নম্বর রয়েছে। এই উপজেলায় অনেক কাঁচা রাস্তা রয়েছে। বরাদ্দ পেলে পাকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close