নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ আগস্ট, ২০২২

সড়ক পরিবহন বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নের দাবি

নগর কিংবা মহাসড়কে প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সঙ্গে আহতদের সংখ্যা কয়েক গুণ। দেশে সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে, সেই সঙ্গে সড়কেরও উন্নয়ন হচ্ছে। তবু থামছে না মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা কমাতে সরকার সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করেছে। তবে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রণয়নের চার বছর পেরিয়ে গেলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি বিধিমালা। তাই আইনের সঠিক বাস্তবায়নে সড়ক পরিবহন বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন জরুরি। বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নের দাবিতে’ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসোর্সের পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী।

ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে যে আইন আছে তার অনেক দুর্বল দিক রয়েছে। ফলে এর সঠিক বাস্তবায়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। অন্যদিকে যতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেটাও করা হচ্ছে না। কারণ এখনো এ-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। বর্তমান সড়ক দুর্ঘটনার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইনে দুর্বল দিকগুলো নিরসন করা দরকার এবং দ্রুত সময়ে আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ফলে এ আইনের ফাঁকগুলোকে পুঁজি করে ক্রমেই বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

সভার সভাপতি ইকবাল মাসুদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যে এখনো পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। আইনের দুর্বল দিক, আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া, উপযুক্ত আইন প্রণয়নে ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের বাধা, সরকারের সদিচ্ছা ও সচেতনতার অভাবে সড়কে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, দেশের যেকোনো উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম ও অনস্বীকার্য। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রণয়নে গণমাধ্যম যেভাবে এগিয়ে এসেছিল, ঠিক একইভাবে গণমাধ্যম এগিয়ে এলে বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান তার প্রবন্ধে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচটি রিস্ক ফ্যাক্টর, সড়ক দুর্ঘটনার আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রেক্ষাপট, আইনের দুর্বল দিক ও বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি গত কয়েক মাসের সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। সেখানে জানানো হয়, গত জুলাই মাসেই দেশে ৬৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩৯ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪২ জন আহত হয়েছেন। শারমিন রহমান বলেন, এপ্রিল মাসে ৪২৭টি দুর্ঘটনায় ৮১ জন শিশুর মৃত্যু হয়, যা আমাদের অত্যন্ত ভাবিয়ে তোলে। তবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার হার ও মৃত্যু বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। যার মধ্যে অন্যতম হলো আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন করা।

এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) ডা. তাসনিম মেহবুবা বাঁধন ও অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close