আকিক তানজিল জিহান, বশেমুরবিপ্রবি

  ০৬ আগস্ট, ২০২২

বশেমুরবিপ্রবি

আসন দখল নিয়ে সম্প্রীতি বিনষ্টের শঙ্কা

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ রেহেনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা সাম্প্রদায়িকতা, অবৈধ সিট দখল ও নিরাপত্তা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

৩১ জুলাই শেখ রেহানা হলে অবস্থানরত ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে সাদিয়া (৪র্থ বর্ষ) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বশেমুরবিপ্রবির চ্যানেল২৪ অনলাইনের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি অহনা মজুমদারের (৩য় বর্ষ) বিরুদ্ধে সিট দখলসহ বিভিন্ন ধরনের অপমানজনক ও ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি অভিযোগপত্রে বলেন, অহনা তাকে রুমে ডেকে ভিসি স্যার বা প্রভোস্ট স্যার না নামতে বললে তিনি (অহনা) সিট থেকে নামবেন না এবং স্যারের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তিনি হ্যান্ডেল করব।

অন্যদিকে হলের ১০৯ নম্বর কক্ষের মোছা. জেরিন তামান্না (বাংলা বিভাগ), তমালিকা মোন্ডল মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ) অহনা মুজমদারের বিরুদ্ধে ফোনে কথা রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তি স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে হল প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগ জানিয়েছেন।

এদিকে ২০ জুন সাম্প্রদায়িকতা ও র‌্যাগিংয়ের জেরে নিরাপত্তাহীনতা বিষয়ে অহনা মজুমদার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়ার ১ মাস পর সেটা গ্রহণ করা হয়। অহনা অভিযোগ পত্রে, রুমে আসার পর থেকে অন্য সদস্যদের তার সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ না করা, র‌্যাগিংসহ ধর্মচর্চায় স্বাধীনতা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন এবং রুমে লোকচক্ষুর আড়ালে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি নিয়ে অন্য সদস্যদের আপত্তি এবং নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট মো. রোকনুজ্জামান জানান, হলের সিটের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় সম্পৃক্ত নয়। আমি জুন মাসে ঈদের ছুটির আগে সহকারী হল প্রভোস্ট ইসরাত জাহান দিনা, মাহাবুবা উদ্দিনকে নিয়ে ওই কক্ষের সবার সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছিলাম।

পরে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।

প্রভোস্ট আরো জানান, অহনাকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের নির্দেশে ২৮ জুলাই পর্যন্ত হলে থাকার জন্য বলা হয়। এরপর আমি একজন সহকারী হল প্রভোস্টসহ বিষয়টি সমাধান করতে গেলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং অহনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দিতে থাকে। এ ঘটনার পর তাকে অন্যকক্ষে থাকার ব্যবস্থা করে যেতে বলে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে চলে আসি। পরে জানতে পারি, তখনো হলের সিট ছাড়েনি অহনা। অহনা জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।

এদিকে ক্যাম্পাস সাংবাদিক কে এম ইয়ামিনুল হাসান আলিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করলে তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করার হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব বলেন, হলের এ ঘটনা নিয়ে তোমরা কোনো কিছু লেখালেখি করো না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close