রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকার দাশপকুর ডিসির মোড়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীর রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম রুপালি খাতুন। তিনি সৌদি প্রবাসী হারুন আর-রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী। হারুন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর ভাবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, রুপালি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাজিয়াকোলা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে। তিনি দাশপুকুর ডিসির মোড় এলাকায় মোসাদ্দেকুর রহমানের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। তার কোনো সন্তান ছিল না। শুক্রবার সকালে বাড়ির মালিকের বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ফজরের নামাজের জন্য ওজু করতে গেলে বাড়ির সামনে রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় রুপালিকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে অন্যদের ডাকেন। পরে বাড়ি মালিকের স্ত্রী লাভলী বেগম খবর দিলে রাজপাড়া থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

লাভলী বেগম জানান, বড় ছেলে ফজরের সময় নামাজের জন্য ওজু করতে বের হয়ে বাড়ির সামনে রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় রুপালিকে পড়ে থাকতে দেখে আমাদের জানায়। তখন আমি গিয়ে লাশটি ওড়না দিয়ে ঢেকে থানায় জানিয়েছি।

রুপালির বিষয়ে লাভলী বেগম আরো জানান, তার স্বামী বিদেশে থাকায় রুপালির কেউ এখানে যাওয়া-আসা করত না। তবে স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হলেও প্রায় ঝগড়াঝাটি হতো। ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগ ছিল। লাশের পাশে ঘুমের বড়িও পড়েছিল।

এদিকে রুপালির ভাই রফিক অভিযোগ করেন, রুপালি ভগ্নীপতি হারুনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাকে ভাত দিবে না বলে নানাভাবে ভগ্নীপতি ভয়ভীতি দেখাত। যে কারণে আমার বোনকে ভগ্নীপতির প্রথম স্ত্রী বা তাদের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করছি।

রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির তিনতলা থেকে পড়ে মারা গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

"