সংসদ প্রতিবেদক

  ২৯ জুন, ২০২২

সংসদে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১৯৮ মি.ঘনফুট

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা ছিল দৈনিক ১ হাজার ৫০২ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমান চাহিদা প্রায় তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সে হিসেবে গত ১৬ বছরে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। একই সময় খনিজ তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ লাখ টন।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলের সদস্য এম আবদুল লতিফ। জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশে খনিজ তেলের চাহিদা ছিল প্রায় ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার টন। বর্তমানে চাহিদা প্রায় ৬৩ লাখ টন। এই চাহিদার বিপরীতে সরকারি ও বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা প্রায় ১৪ লাখ টন। এ ছাড়া অন্যান্য উৎস (সরকারি/বেসরকারি ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট) থেকে বার্ষিক ৪-৪.৫ লাখ টন জ্বালানি পণ্য পাওয়া যায়।

সরকার দলের আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাগড়াছড়ির সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র ও এর পাশের ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ১৫ এবং ২২ প্রকল্পের আওতায় ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় দ্বিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া পার্বত্য এলাকায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ আহ্বান করা হয়। বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানসমূহের দাখিল করা প্রস্তাবসমূহ মূল্যায়ন করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল দেওয়ার কাজ চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close