প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ জুন, ২০২২

প্রথম কলাম

হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে অভ্যাস বদলালে!

হৃদরোগ, যাকে মানুষ বেশিভাবে চেনে হার্ট অ্যাটাক বলে। পৃথিবীজুড়ে এই রোগের দাপট খুব বেশি। প্রতি বছর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। বিভিন্ন সময় নানা কারণে হতে পারে এই সমস্যা। মানসিক চাপ থেকে অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা, অনিদ্রা কিংবা অন্য আনুষঙ্গিক রোগ অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদ?রোগের ঝুঁকি। তবে এই রোগের ভয়াবহতা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে পারে কিছু অভ্যাস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতে চাইলে দৈনন্দিন অভ্যাসে আনতে হবে ছোট্ট কিছু বদল। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন পরিবর্তন দূরে রাখতে পারে এই সমস্যা থেকে-

খাদ্যাভাসে পরিবর্তন : অতিরিক্ত তেল-মসলাসমৃদ্ধ খাবার রোজ না খাওয়াই ভালো। মাছ-মাংস যেমন খাচ্ছেন, তেমনই সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত কয়েক দিন বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফাইবারযুক্ত খাবারও খেতে হবে। শাকসবজিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। খাদ্যতালিকায় ওট?স, ব্রাউন রাইস, বিন?স, মসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন। বাদ দিন প্রক্রিয়াজাত খাবার।

পর্যাপ্ত ঘুম : পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদ?রোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। একটানা যদি ঘুম না-ও আসে, তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘুমিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

শরীরচর্চা : সংবহনতন্ত্র (হৃৎপি-, রক্তনালি এবং রক্ত) ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। সবসময় খুব ভারী শরীরচর্চা করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি কিংবা যোগাসন করলেও চলবে।

ইচ্ছামতো ওষুধ নয় : ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যা হৃদ?রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলোর জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। বিশেষ করে যারা রক্তচাপের ওষুধ খান, তাদের এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি।

অবহেলা নয় : হৃদযন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে হৃদ?রোগ। কিন্তু অনেকেই বুকে ব্যথা, ক্লান্তি বা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলোকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যান। এই ধরনের সমস্যা অবহেলা করা অনুচিত। বিশেষত পরিবারে যদি হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, তা হলে অবশ্যই নিয়মিত হৃদযন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের পরীক্ষা দরকার। সূত্র : আনন্দবাজার

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close