প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ মে, ২০২২

প্রথম কলাম

ঘাড় ব্যথা হলে যা করবেন

রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর অথবা সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা কিংবা মোবাইলে গেম খেলা বা চ্যাটিং; যা-ই করুন না কেন, এর ফলে হতে পার ঘাড় ব্যথা। কারণ স্থির অঙ্গভঙ্গির কারণেই বেশিরভাগ মানুষের কাঁধ বা ঘাড়ে হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হয়ে থাকে। এর ফলে ঘাড় যেমন নড়ানো যায় না; তেমনই ব্যথায় কাতরাতে হয়। রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি তীব্র ঘাড় ব্যথা অনুভব করেন তখন আপনি কী করবেন? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন পরিস্থিতিতে আমরা ঘাবড়ে যাই।

তৎক্ষণাৎভাবে আক্রান্ত স্থানে যেকোনো মলম মালিশ করতে থাকি। এতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যথা কমার বদলে আরো তীব্রতর আকার ধারণ করতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত উঁচু বালিশ ব্যবহার করা, একটানা নিচু ডেস্ক ব্যবহার করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করা, মাথায় অতিরিক্ত ওজন বহন, যেকোনো ধরনের আঘাত বা ত্রুটিপূর্ণ ব্যায়াম এবং কিছু রোগ যেমন সারভাইক্যাল রিব, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, পিএলআইডি, সারভাইক্যাল ক্যানাল স্টেনোসিস ইত্যাদি কারণে দীর্ঘমেয়াদি ঘাড় ব্যথা হতে পারে।

উপসর্গ : ঘাড়ে ব্যথা এবং মাংসপেশি শক্ত হয়ে আসা, মাথাব্যথা, ঘাড় যেকোনো এক দিকে বা দুই দিকে ঘোরাতে না পারা, দীর্ঘমেয়াদি ঘাড় ব্যথার ক্ষেত্রে ঘাড় থেকে হাতের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, এক হাত বা দুই হাতে অবশ বা ঝিমঝিম অনুভূত হওয়া।

করণীয় : যেকোনো ঘাড় ব্যথাতে প্রথম করণীয় হলো অল্প কয়েক দিনের জন্য নেক ইম্মবিলাইজ করা, অর্থাৎ সারভাইক্যাল কলার ব্যবহার করে ঘাড় নড়াচড়া না করানো। এতে ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করবে না। দ্বিতীয়ত, স্বল্পমেয়াদি ব্যথায় বরফ বা ঠাণ্ডা পানি এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথা যদি ঘাড় থেকে হাতের দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর সঙ্গে ঝিন ঝিন অবশ অনুভূতি থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এক্সরে ও এমআরআই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি বা ঘরোয়া ব্যায়াম করেও ঘাড় ব্যথায় কমানো যেতে পারে। ইন্টারনেট।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close