খুলনা ব্যুরো

  ২২ মে, ২০২২

খুলনা রেলওয়ে

টিকিট কালোবাজারে, তেলের টাকায় ফোন

খুলনায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার অন্য দুই সহকারী মাস্টারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নিজেই অভিযোগ তোলেন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির। এরপর থেকেই বের হতে শুরু করে থলের বিড়াল। আবার স্টেশন মাস্টার টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ অভিযুক্তদের। এদিকে তেলের টাকায় মাস্টারকে দুটি মোবাইল ফোন কিনতে বলার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। এভাবে একে অপরকে দোষারোপ করায় মাস্টারকে শোকজ এবং অভিযুক্তদের বদলি করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, খুলনা রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারি নিয়ে সম্প্রতি জিআরপি থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার। এরপরই লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়।

কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে জিডি করায় খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারকে বৃহস্পতিবার শোকজ করা হয়। একই সঙ্গে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা রেলস্টেশনের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন রেলস্টেশনে বদলি করা হয়।

বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক, পাকশী মো. শাহেদুল ইসলাম জানান, স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার তাদের না জানিয়ে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ-সংক্রান্ত বিষয়ে জিডি করেছেন। জিডি করার আগে তাদের বিষয়টি তার জানানো উচিত ছিল। কিন্তু তিনি জানাননি। সে কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারি করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বৃহস্পতিবার বিকালে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের ট্রেন এক্সামিনার (টিএক্সআর) বায়তুল ইসলামকে চিলাহাটি, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদকে রোহানপুর স্টেশন, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেনকে মহেড়া স্টেশন, খালাসি পপিদুর রহমানকে পার্বতীপুর ও খালাসি জাফর ইকবালকে যশোরে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন বলেন, কী কারণে বানোয়াট অভিযোগ তুলে স্টেশন মাস্টার জিডি করেছেন বোধগম্য নয়। টিকিটের বিষয়টি তিনিই দেখে থাকেন।

এর আগে গত ১৬ মে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে খুলনা রেলস্টেশনের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে খুলনা রেলওয়ে থানায় জিডি করেন। যাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয় তারা হলেন টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম, আইডব্লিউ অফিসের মো. জাফর মিয়া, তোতা মিয়া, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ ও সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন।

এদিকে সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ ও সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন এবং টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম দাবি করেছেন, লাইট জালাতে বরাদ্দ তেলের টাকা দিয়ে দুটি মোবাইল ফোন কেনার জন্য স্টেশন মাস্টারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন ও স্নিগ্ধার সঙ্গে স্টেশন মাস্টারের বাকবিত-া হয়। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে তিনি উদোর পি-ি বুধের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close