প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
প্রথম কলাম
যেভাবে এসির বিদ্যুৎ খরচ কমবে
গরমে অস্থির হয়ে বাড়িতে এসি লাগিয়ে স্বস্তি পেতে না পেতেই মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় পড়ল হাত! এসি ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে বাড়তি বিলের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ব্যুরো অব এনার্জি এফিশিয়েন্সির (বিইই) মতে, এয়ার কন্ডিশনারের ডিফল্ট তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই তাপমাত্রা মানবদেহের জন্য স্বস্তিদায়ক। এসির তাপমাত্রা বাড়ালে প্রতি ডিগ্রির জন্য ৬ শতাংশ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। ফলে ১৮ ডিগ্রির বদলে ২৪ দিয়ে রাখলে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচবে অনেকটাই।
ইনভার্টার এসি কিনুন। এ ধরনের এসির মোটরটি প্রয়োজনমতো নিজস্ব চলার গতি পরিবর্তন করতে পারে। ইনভার্টার এসিতে থাকা সেন্সর ঘরের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে কম্প্রেসার পুরোপুরি বন্ধ না করে মোটরটির চলার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। এসি চালানোর আগে দরজা জানালা লাগিয়ে দিন ঘরের। দ্রুত ঠাণ্ডা হবে ঘর।
একটানা এসি না চালিয়ে মাঝে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখুন। ঘণ্টা খানেক এসি চালানোর পর সেটি বন্ধ রাখলেও ঘর ঠাণ্ডা থাকবে অনেকক্ষণ।
এসির পাশাপাশি রুমের ফ্যানও চালিয়ে দিন। এতে এসির তাপমাত্রা খুব বেশি কমাতে হবে না। ফ্যানের বাতাসের সঙ্গে এসির ঠাণ্ডাও ছড়িয়ে পড়বে রুমজুড়ে।
বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে এসি চালিয়ে টাইমার সেট করে দিতে পারেন। এতে নির্দিষ্ট সময় পর এসি আপনা-আপনিই বন্ধ হয়ে যাবে। রাতে ঘুমানোর আগে টাইমার সেট করে রাখতে পারেন। অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন টিভি, ফ্রিজ এগুলো থেকে তাপ নির্গত হয়। ফলে রুমে এগুলো থাকলে ঘর ঠাণ্ডা হতে সময় লাগে বেশি। সম্ভব হলে এসি চালানোর আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে দিন।
নিয়মিত এসি সার্ভিসিং জরুরি। পাশাপাশি এসির ভেতরের ভেন্টগুলোও পরিষ্কার করতে হবে। এতে কম্প্রেসারের ওপর চাপ কম পড়বে ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
"