জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

  ১২ মে, ২০২২

অর্থাভাবে স্মৃতিসৌধের কাজ বন্ধ, দখল হচ্ছে জমি

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মাণাধীন স্মৃতিসৌধের কাজ অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১৪ সালে সৈয়দপুর শহরের শহীদ ক্যাপ্টেন হুদা সড়কের পাশে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু টাকার অভাবে সাত বছর ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ।

নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আদেলুর রহমান আদেল জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সংরক্ষণ করে সৈয়দপুরে নির্মাণাধীন স্মৃতিসৌধটি দ্রুত সমাপ্তি করতে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়কমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তিনি সেটি বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

স্মৃতিস্তম্ভের বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকন জানান, ২০১৪ সালের ১২ এপ্রিল শহীদ ক্যাপ্টেন হুদা সড়কের পার্শ্বে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ২ একর জমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ দিয়েছেন। নীলফামারী জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া গেছে ৩ লাখ টাকা। একই সঙ্গে নিজস্ব তহবিলসহ মোট ৫০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। স্মৃতিসৌধটির কাজ শেষ করতে মোট ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে, কিন্তু টাকার অভাবে কাজ শেষ করতে পারিনি।

শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ বাস্তবায়ন কমিটি জানায়, প্রতি বছর ১২ এপ্রিল সৈয়দপুর স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত হয়, কারণ ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী সৈয়দপুরের বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। এখন তাদের দোসররা শহীদদের স্মরণে নির্মাণাধীন স্মৃতিস্তম্ভের জমি দখলে নিয়েছে আর শহীদ পরিবারের লোকজন প্রায় নিশ্চুপ।

সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শওকত চৌধুরী জানান, সংসদ সদস্য থাকাকালীন স্মৃতিস্তম্ভের জমি কেউই দখল করতে পারেননি। কিন্তু এখন সেদিকে কারো দৃষ্টি নেই বলেই স্মৃতিস্তম্ভের জমি দখল শুরু হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, স্মৃতিস্তম্ভের জমি বেশির ভাগই দখল নিয়েছে পাক হানাদার বাহিনীর দোসররা। গড়ে তোলা হয়েছে বস্তি, কেউবা সেখানে ইট, পাথর, খোয়া ও বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এনিয়ে কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একরামুল হকের সঙ্গে তিনি জানান, স্মৃতিস্তম্ভটি বীর বাঙালির অস্তিত্বের জায়গা অথচ সেটির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক বলেন, ‘আমার জানা মতে, স্মৃতিসৌধটি নির্মাণে পর্যাপ্ত অর্থ মিলেছে। এরপরও কেন যে নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, তা আমার জানা নেই। এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close