হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

চালকের গাফিলতিতে ২১ শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ

গত বৃহস্পতিবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। নির্ধারিত সময় ছিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আগের দিন রওনা দিয়েও দূরের ২১ শিক্ষার্থী সড়কের দুরবস্থা আর বাসচালক ও হেল্পারের গাফিলতির কারণে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছে ক্যাম্পাসে। এ কারণে তাদের ভর্তি করেনি কর্তৃপক্ষ। দুঃখ প্রকাশ করেই দায় সেরেছেন তারা। এভাবেই স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গেল ২১ শিক্ষার্থীর। অধরা থেকে গেল এত দিনের সাধনা ও আয়োজন। ওই শিক্ষার্থীরা আসছিলেন চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক ও সুপার ভাইজারের গাফিলতি, স্থানে স্থানে যাত্রী তোলা আর সড়কের দুরবস্থার কারণে নির্ধারিত সময়ে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারেননি তারা। মাত্র ১৫ মিনিটের দেরি হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিলেন না কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থী ভর্তির নিমিত্তে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হয় রিপোর্টিং কার্যক্রম। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া অ্যাকাডেমিক ভবনে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এই রিপোর্টিং কার্যক্রম। এতে অংশ নেয় ৮৬২ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোস্তফা গালিব (অপেক্ষমাণ তালিকায় ১০১ সিরিয়াল) জানান, হাবিপ্রবিতে ভর্তি হওয়ার জন্য খুবি, ইবি, শাবিপ্রবিতে ভর্তি হইনি। হাবিপ্রবির কৃষি অনুষদ আমার লক্ষ্য ছিল। বাসের চালক যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা-নামায় অনেক সময় চলে যায়। হাবিপ্রবি প্রশাসন মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য আমাদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনায় নিলেন না। আমি কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারছি না। আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আমরাই নাকি জাতির ভবিষ্যৎ। মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য কেন আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে না? আমরা এতদূর থেকে আসলাম। কেউ বুঝল না আমাদের দুঃখটা।’ মারুফ ইসলাম অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে (অপেক্ষমাণ তালিকায় ৮৮২ সিরিয়াল) বলেন, ‘আমরা গত বুধবার বিকাল ৪টায় বাসে উঠার পরও পৌঁছাতে পারলাম না। বাসায় গিয়ে বাবা-মাকে কী বলব? যেহেতু আমাদের দোষ ছিল না। কর্তৃপক্ষ চাইলেই বিষয়টি মানবিকতার খাতিরে আমলে নিতে পারতেন। আমরা সত্যিই জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে হতাশ। এখন পর্যন্ত অনেক টাকা নষ্ট হয়েছে। কোথাও ভর্তি হতে পারলাম না।’এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সবকিছু একটি নিয়মের মধ্য দিয়েই চলে। আমরা বেশ কয়েক দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি, মেসেজ কিংবা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানানোর ব্যবস্থা করে আসছি।

তারপরও এমন ঘটনা সত্যিকার অর্থে দুঃখজনক। আমরা চাই না এমন ঘটনা পরবর্তী সময়ে ঘটুক। আগামীতে ভর্তি হতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close