নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ নভেম্বর, ২০২১

দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের তাগিদ নাগরিক সমাজের

উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ১ হাজার ১৭২ কোটি ৩২ লাখ টাকার ‘খুলনা জেলার পোল্ডার নং-১৪/১ পুনর্বাসন’ প্রকল্প পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উপকূলীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা দ্রুত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরুর তাগিদ দিয়েছেন।

গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উপকূলীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি ও গ্লেরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি এবং সদস্য সচিব সচিব নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

তারা বলেছেন, জনগণের আকাক্সক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার টেকসই বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আশা করছি, চলতি শীত মৌসুমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। উপকূলের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের নেওয়া অন্য প্রকল্পগুলো দ্রুত অনুমোদনের আহ্বান জানাই।

এছাড়া সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস), ফেইথ ইন অ্যাকশন, লিডার্স এবং সচেতন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ নানা কারণে উপকূলীয় বাঁধগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পোল্ডারিংয়ের কার্যকারিতা বিলোপ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পোল্ডার এলাকাকে রক্ষা করতে হলে স্থায়ী বাঁধ তৈরি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন কথা বলছি, দেন-দরবার করছি। যার অংশ হিসেবে এই প্রকল্পটি পাস হয়েছে। জনগণের দাবি অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে পুরো উপকূলীয় এলাকাকে টেকসই বেড়িবাঁধের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বিবেচনা করে ‘খুলনা জেলার পোল্ডার নং- ১৪/১ পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়। কারণ উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ জনপদ খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেতকাশী ইউনিয়ন। ঘূর্ণিঝড় আইলা-আম্ফান-ইয়াসে বাঁধ ভেঙে এ অঞ্চলের আংটিহারা, মেদের চর, হরিহরপুর শাকবাড়িয়া, পদ্মপুকুর জোড় শিং, চোরামুখসহ বিস্তীর্ণ এলাকা লবণপানিতে তলিয়ে যায়। কৃষিজমি ও চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি জীবন-জীবিকা হুমকিতে পড়েছে। দুর্যোগপূর্ণ এ অঞ্চলে মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close