গাজীপুর প্রতিনিধি

  ২১ নভেম্বর, ২০২১

বারিতে ক্ষতিকর পোকা ফল আর্মিওয়ার্ম ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্মশালা

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কীটতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে গতকাল ‘বাংলাদেশে ফল আর্মিওয়ার্ম পোকা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ।

বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় বক্তব্য দেন বারির পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. রীনা রানি সাহা ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনালের (সিএবিআই) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ড. মালবিকা চৌধুরী এবং সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. টিমোথি জে. ক্রপনিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য এবং ‘বাংলাদেশে ফল আর্মিওয়ার্ম ব্যবস্থাপনা : বারি’র উদ্যোগ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারির কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. নির্মল কুমার দত্ত।

কর্মশালায় জানানো হয়, ফসলের জন্য বিধ্বংসী এই ফল আর্মিওয়ার্ম বা সাধারণ কাটুই পোকা যার বৈজ্ঞানিক নাম ঝঢ়ড়ফড়ঢ়ঃবৎধ ভৎঁমরঢ়বৎফধ পৃথিবীব্যাপী একটি মারাত্মক ক্ষতিকারক এবং বিধ্বংসী পোকা হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত আমেরিকা মহাদেশের পোকা হলেও ২০১৬ সনে আফ্রিকা এবং ২০১৮ সনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিশেষত: ভারত, শ্রীলঙ্কায় এদের আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক দেশের উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় কয়েকটি ফসলে স্থাপনকৃত ফেরোমন ফাঁদে প্রথমবারের মতো এটির পূর্ণাঙ্গ পোকার উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়। এছাড়াও শেরপুর, বগুড়া ও চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টা ফসলে এদের আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আফ্রিকা মহাদেশে ভুট্টা ফসলে এই পোকা আক্রমণের ফলে দুর্ভিক্ষ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে এই পোকার আক্রমণ প্রতিরোধে একটি টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশে ফল আর্মিওয়ার্ম পোকা এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারেনি।

বারির বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানীসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, বিভিন্ন এনজিও এবং রাসায়নিক ও জৈব বালাইনাশক প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close