বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুমিল্লায় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ঘটনাটি নির্মম অমানবিকতার দিকে গড়াত না। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের নীতি এখন ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, সরকার নানা ‘বায়োস্কোপ’ প্রদর্শন করে তাদের অমানবিকতার বলি করছে দেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরঞ্জিত শক্তি প্রয়োগের কারণে জীবনহানি ও গুরুতর আহতসহ বিভিন্ন জনপদ রক্তরঞ্জিত হচ্ছে। কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনার জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর চৌমুহনী, ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, হামলার চেষ্টাসহ নানাবিধ সংঘাত-সংঘর্ষ ও পুলিশি আক্রমণে বিক্ষুব্ধ মানুষের ওপর লাঠিপেটা, গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং বর্বরোচিত আক্রমণে হতাহতের ঘটনা শুধু নির্দয় আচরণই নয়, এটি কাপুরুষোচিত। এই অরাজকতা সৃষ্টিকারীরা বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্যকে ম্লান করেছে।

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে, তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে কক্সবাজারের রামু-উখিয়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, বি-বাড়িয়া, ফরিদপুর, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে আক্রমণ ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হয়েছে।

"