বাংলাদেশের রেল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে গতকাল রবিবার রেলভবনে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে রেলপথমন্ত্রী বলেন, এ খাতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছি। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং আগামীতে আরো অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। রেল খাতের উন্নয়নে আমাদের একটি মহাপরিকল্পনা আছে, সেটি ধরে ধরে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের রেললাইন ছিল ৩ হাজার কিলোমিটার আর বর্তমানে ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার হয়েছে। আমাদের রেলপথ যমুনা নদী দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত। পশ্চিমে ব্রডগেজ আর পূর্বে মিটারগেজ। আমাদের বেশির ভাগই সিঙ্গেল লাইন। আমরা পর্যায়ক্রমে সব সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা নতুন নতুন লোকোমোটিভ ও প্যাসেঞ্জার কোচ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করছি। কারখানাগুলোর আধুনিকায়ন করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা ইলেকট্রিক ট্রাকশনের দিকে যাব।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, যেকোনো দেশের জন্য পরিবেশবান্ধব, সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে রেলওয়ে। বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে রেল খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।

রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, তুরস্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইসি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

"