পোস্ট কোভিড স্ট্রেসের প্রভাব ৩০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে এর থেকে উত্তরণে নিজেকে ভালো রাখতে মেডিটেশন, ইয়োগার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, করোনা-পরবর্তী সময়ে সুস্থ থাকার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মত জীবনাচার। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশন। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে আমেরিকান হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার ‘ব্যাক ইন মোশন’র উদ্যোগে পোস্ট কোভিড স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক সেমিনারে এই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল। আলোচনায় অংশ নেন ডা. মো. আবদুল্লাহ ইউসুফ, ড. তাজিয়া সরদার, নেচারপ্যাথ বিশেষজ্ঞ ও ইয়োগা ইনস্ট্রাকটর আহমেদ শরিফ, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার প্রাণজিত লাল শীল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান।

ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, পোস্ট কোভিড স্ট্রেসের উত্তরণে নিজেকে ভালো রাখতে মেডিটেশন, ইয়োগার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। করোনা-পরবর্তী সময়ে সুস্থ থাকার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর কোনো বিকল্প নেই।

ডা. মো. আবদুল্লাহ ইউসুফ বলেন, ‘পিটিএসডির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। সাধারণ যেকোনো ধরনের ট্রমাটিক ইভেন্ট, ট্রমা চলে যাওয়ার পরও তার প্রভাবটা জীবনে রয়ে যায়। যেমন- যদি কোনো সৈনিকের কথা চিন্তা করা হয়, যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরও যুদ্ধের স্মৃতি, ভয়াবহতা ক্ষত বা প্রভাব জীবনে ফেলে যায়। এর কারণে অনিদ্রা, অনিশ্চয়তা, অনিরাপত্তা, আতঙ্ক ও একাকিত্বতায় ভুগতে পারে মানুষ।

নেচারপ্যাথ বিশেষজ্ঞ ও ইয়োগা ইনস্ট্রাকটর আহমেদ শরিফ বলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ ও ভালো থাকার জন্য ইয়োগার কোনো বিকল্প নেই। সেমিনার শেষে একটি সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। সংগীতশিল্পী এস আই টুটুলের গানে পুরো অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন অতিথিরা।

"