নোয়াখালী প্রতিনিধি

  ১০ অক্টোবর, ২০২১

নোয়াখালীতে ভূমিবিরোধ

পুলিশ সদস্যের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতা!

নোয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম চরউরিয়া গ্রামে ভূমি বিরোধের জের ধরে মো. জাকের হোসেনের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। এই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে উল্টো বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার এবং ঘটনার সাক্ষী জহিরুল ইসলাম রবিন।

ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান মো. জাকের হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই আবুল কাশেমের সঙ্গে ভূমির মালিকানা ও বসতঘরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সাম্প্রতিক জাকের হোসেনের বসত ঘরের আংশিক জোরপূর্বক কেটে তার ওপর বিল্ডিং নির্মাণ করেন কাশেম ও তার ছেলেরা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়। শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে উল্টো আবুল কাশেম তার বসতঘর চুরি এবং পুত্রবধূ জলি আক্তারকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছোট ভাই আবুল কালাম আজাদ, জাকের হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সুধারাম থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ওই ঘটনার সত্যতা না পেয়ে আসামিদের ব্যাপারে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে আবুল কাশেমের মেঝ ছেলে পুলিশ সদস্য হারুনুর রশিদ একই বাড়ির সারওয়ার আলম বাবুলের ছেলে জহিরুল ইসলাম রবিনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে একাধিকবার চাচা মো. জাকের হোসেন, চাচাতো ভাই সাজ্জাদুর রহমান আরিফ, মিজানুর রহমান বিপ্লবকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেন। এতে জাকের হোসেনের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ভুক্তভোগী জাকের হোসেন তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২২ আগস্ট সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ওই সাধারণ ডায়েরি করার পর গত ২৪ আগস্ট দুপুরে হারুনুর রশিদ নিজে অবরুদ্ধ করার নাটক সাজিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে প্রতিপক্ষ জাকের হোসেন ও তার পরবিারের সদস্যদের হয়রানি করার চেষ্টা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হারুনুর রশিদকে অবরুদ্ধ অবস্থায় না পেয়ে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।

জাকের হোসেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার হুমকি সম্পর্কে জানতে চাইলে আবুল কাশেমের ছেলে পুলিশ সদস্য হারুনুর রশিদ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমার কল রেকর্ড আংশিক উপস্থাপন করা হয়েছে এবং আমি কথা প্রসঙ্গে কোটি টাকার মালিকানার কথা বলেছি।

সুধারাম থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মিজান উদ্দিন জানান, ৯৯৯-এর ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে অবরুদ্ধ পাইনি। পুলিশ সদস্য হারুনুর রশিদের ঘরের সিসিটিভি ফুটেজেও অবরুদ্ধের কোনো ঘটনা দেখতে পায়নি। জায়গা-জমি নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ আছে অনেক দিনের।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন সাধারণ ডায়েরি অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিডির তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close