ঢাকা থেকে জামালপুরে যাওয়া একটি ট্রেনের ছাদে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে। চলন্ত ট্রেনে ডাকাতের হামলায় তারা নিহত হয়েছেন বলে ট্রেনযাত্রীরা জানিয়েছেন।

ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর জামালপুর পৌঁছলে ছাদে লাশ দুটি পাওয়া যায়। এছাড়া রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন জামালপুর পৌরসভার বাগেরহাটা বটতলা এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে সাগর মিয়া (২৪)। অপরজন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আম খাওয়া গ্রামের ওয়াহিদুজ্জামানের ছেলে নাহিদ (৪০)। তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

আহত রুবেল (২২) ইসলামপুর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের হীরু মিয়ার ছেলে।

রেলওয়ে পুলিশের সার্কেল ইন্সপেক্টর (ময়মনসিংহ) গুলজার হোসেন বলেন, ট্রেনটি জামালপুরে এলে ছাদ থেকে রক্ত পড়তে দেখে ভেতরে থাকা কয়েকজন যাত্রী পুলিশ এবং গার্ডকে জানান।

এরপর ছাদে উঠে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়ে জামালপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জানান, দুজন আগেই মারা গেছেন।

ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিববহন নিষিদ্ধ হলেও, বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন হওয়ায় যাত্রীদের ভিড় বেশি ছিল। আর ভিড়ে আসন না পেয়ে অনেকে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করেন।

কমলাপুর থেকে ট্রেনের ছাদে ওঠা ফারুক নামের এক যাত্রী বলেন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার পর ট্রেনের ছাদের যাত্রীরা ডাকাত দলের কবলে পড়েন। চার থেকে পাঁচজনের ডাকাত দলটি নাহিদসহ (পরে নিহত) অনেক যাত্রীর কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে চলে যান।

ট্রেনটি রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফারুক ও নাহিদসহ কয়েকজন যাত্রী এক হয়ে ছাদে ডাকাতদের খোঁজা শুরু করেন।

ফারুক বলেন, তারা ডাকাতদের চিনতে পেরে কিছু বলার আগেই ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে যাত্রী নাহিদ, রুবেল ও অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন।

রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি জামালপুর স্টেশনে পৌঁছলে ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তিনজনকে নামিয়ে আনা হয়।

জামালপুর রেলওয়ে থানার এসআই সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রেনযাত্রী রুবেলের ভাষ্য অনুযায়ী ট্রেনের ছাদে তারা ডাকাত দল বা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"