ফরিদপুর প্রতিনিধি

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পদ্মায় ট্রলার ডুবি

২৫ দিন পর মিলল শিক্ষকের লাশ

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া অপর শিক্ষকের লাশও পাওয়া গেছে। ওই দুর্ঘটনার ২৫ দিন পর রবিবার শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় মঙ্গলমাঝি সাত্তার মাতবরের ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। গত ২৫ আগস্ট ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুজন শিক্ষক নিখোঁজ হন। আজমল হোসেন শেখ নামে নিখোঁজ এক শিক্ষকের লাশ গত ১ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর ৩৩ নম্বর পিলারের কাছে নাওডুবি গ্রামে পদ্মা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়।

আর ২৫ পর নিখোঁজ শিক্ষক আলমগীর হোসেনের (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয় রবিবার। আলমগীর ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের ইকরা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের আবদুস সালাম শেখের ছেলে আলমগীর। তিনি বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাজিরার মঙ্গলমাঝি সাত্তার মাতবরের ঘাট এলাকায় লাশটি নদীতে ভাসতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এলাকাবাসী।

পরে নৌ পুলিশ ও জাজিরা থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

মাঝিরঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মঈনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে জাজিরা থানায় নেওয়া হযেছে। সেখানে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, আলমগীরের স্ত্রী জোবায়দা জেসমিন জেবা স্বামীর বুকে নীল রঙের জন্ম দাগ দেখে তাকে শনাক্ত করেন। পরে লাশটি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গত ২৫ আগস্ট (বুধবার) বিকাল ৪টার দিকে ফরিদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষক একটি ট্রলার ভাড়া করেন। শিক্ষকরা প্রথমে চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের চাঁদের বিল ঘুরে পদ্মা নদী দিয়ে মদনখালী এলাকায় যান। ফেরার পথে সাড়ে ৫টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।

ওই ট্রলারে ১৫জন শিক্ষক ও ট্রলারে মাঝিসহ ১৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ১৩ জন শিক্ষক ও মাঝিসহ ১৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ওই দুই শিক্ষক পানির স্রোতে ভেসে যায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close