নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আইনজীবীদের হাইকোর্ট

লোভ কমাতে সচেতনকরুন জনগণকে

ই-কমার্সের নামে প্রতারিত হওয়ায় গ্রাহকদের লোভ কমানোর জন্য জনস্বার্থে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাতে বলেছে হাইকোর্ট। আড়ি পাতা প্রতিরোধ ও ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনায় কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে ই-কমার্সের প্রসঙ্গ ওঠে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল রবিবার ওই রিটের শুনানি হয়।

শুনানির একপর্যায়ে আদালত রিট আবেদনকারীদের আইনজীবীর কাছে ই-কর্মাস বিষয়ে জানতে চায়। আদালত বলে, একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কিত। তখন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, কিছু গ্রাহক এসেছিলেন। তারা টাকা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ে দিয়ে। অফার দেওয়া হয়েছে, একটি মোটরসাইকেল কিনলে দুটি মোটরসাইকেল পাবে। অফার গ্রহণ করার পর বলেছে পেমেন্ট কীভাবে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি গেটওয়ে করে দিয়েছে। এই গেটওয়ে দিয়ে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করে ই-অরেঞ্জ অ্যাকাউন্টে টাকাটা জমা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ে দিয়ে এই পেমেন্টের অনুমোদন কেন দেওয়া হলো? শিশির মনির বলেন, ই-অরেঞ্জের কাছে গিয়ে ওই টাকা কোথায় যাচ্ছে, এর কোনো লিংক পাওয়া যায় না। গ্রাহকরা এক অর্থে প্রতারণার শিকার, আরেক অর্থে নিজেরা লোভের শিকার। একজন ৭০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এই টাকা দিয়ে তিনি অনেক কিছু পাবেন। প্রথম তিনবার পেয়েছেনও। ফলে তার বিশ্বাস জন্মেছে। কিন্তু শেষবার কিছু পাননি। এ জন্য লোভও দায়ী। বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ে দিয়ে এই লেনদেন করতে দেওয়াটা ঠিক হয়নি।

শিশির মনির আরো বলেন, আমাদের এখানে একটি কিনলে দুটি পেয়ে যাবে, এমন অফার দেওয়া হয়। অথচ আলিবাবা ও আমাজন অফার দেয়, পণ্যের দাম ২৬ ডলার, সঙ্গে পরিবহন খরচ দিতে হবে ২ দশমিক ৬ ডলার। এ সময় আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলে, এখন আপনাদের দায়িত্ব। যারা জনস্বার্থে মামলা করেন, তারা গ্রাহকদের লোভ কমান। লোকজনকে সচেতন করেন যেন লোভে না পড়েন। বেশি করে পাবলিক ক্যাম্পেইন করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close