প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
চোরচক্রের ৭ সদস্য পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার
পৃথক অভিযানে গাজীপুরে পিকআপ ও গাড়ির যন্ত্রাংশসহ আন্তজেলা চোরচক্রের দুই সদস্যকে এবং মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারসহ হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি, পুলিশের বিশেষ পোশাক ও লাঠিসহ সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-
গাজীপুর :
গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ও গাড়ির যন্ত্রাংশসহ আন্তজেলা গাড়ি চোরচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রবিবার গাজীপুর জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানানো হয়। গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় আসামিদের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দখল হতে একটি পুরোনো পিকআপ, একটি ডায়নামা, একটি ব্যাটারি, একটি পেশার জগ, ইঞ্জিন হেডের কভার, ডায়নামার একটি বেল্ট, ডায়নামার একটি হেডর বেল্ট, একটি হেড বিয়ারিং ও একটি বুশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরিদপুর :
গাজীপুরের কাশেমপুর কারাগারে পরিচয়, বের হয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাই করার একটি চক্র গড়ে তোলে কয়েক সাবেক বন্দি। একই সঙ্গে তারা নগদ টাকা ও মালামালও ছিনতাই করত। টার্গেট ছিল দামি ও নতুন মোটর বাইক। দলের সবাই সাভারের আশুলিয়া এলাকায় গাড়ির চালাত। ছিনতাই করত পুলিশ পরিচয়ে। পেছনে থাকত আরো একটি প্রাইভেট কার। সঙ্গে থাকত ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ ও পুলিশের বিশেষ পোশাক। কাজ শেষে প্রাইভেট কারে করে পালাত তারা। এমন ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন সরকার ও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন সরকার উপস্থিত ছিলেন। আটকরা হলো- মধুখালীর বাগাটের জাকির হোসেন বিশ্বাসের ছেলে জুয়েল রানা (৩১), তার ভাই আল আমীন (৩০), আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামের রবিউল আলমের ছেলে বাবুল আক্তার (৪৩), বালিয়াকান্দির আড়পাড়া গ্রামের বাল্লুক মৃধার ছেলে অশিক মৃধা (৩৭) ও আশুলিয়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন (২৩)। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এই চক্রের মূল মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে জুয়েল রানা। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ১৬টি মামলা রয়েছে।
"