ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদল ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সাত দিনের মধ্যে বাতিলের আলটিমেটাম দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২০১৯ সালে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতারা।

কসবা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব আবদুর রহমান সানীর নাম বিক্রি করে তার বড় ভাই কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া কমিটি বাণিজ্য শুরু করেছেন। তিনি উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত না করেই মাসুদুল হক ভূঁইয়া দিপুকে আহ্বায়ক ও জিয়াউল হুদা শিপনকে সদস্য সচিব করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।

একইভাবে মহসিন আলমকে আহ্বায়ক ও রাকিব মিয়াকে সদস্য সচিব করে কসবা পৌর যুবদলের কমিটিও গত ১২ জুন স্বাক্ষর করে ১২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কসবা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন। এ সময় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সংবাদ সম্মেলনে কামাল উদ্দিন আরো অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সংবিধান লঙ্ঘন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুবদল তাদের পদ-পদবি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে কসবা উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলকে মেরুদন্ডহীন করতে এ পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটিতে তৃণমূলে জনপ্রিয়দের ও আন্দোলনে জেল-জুলুমের শিকার ত্যাগী কর্মীদের পদবঞ্চিত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম অপু, মেহেদী হাসান রুবেল, মানিক সরকার, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, মো. মোহন সরকার, মো. সৈয়দ আলী ও সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দিনসহ উপজেলা, পৌর যুবদল ও বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. ইয়াসিনের সঙ্গে গতকাল শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নতুন কমিটি ঘোষণা করলে পুরোনো কমিটি আপনাআপনিই বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমান কমিটি বৈধ কমিটি। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কমিটি গঠন করা হয়নি।

"