পাবনা প্রতিনিধি

  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পাবনায় শিক্ষায় মহাযজ্ঞ

৪৫৭ কোটি টাকার কাজ শেষ পর্যায়ে

বিগত দুই বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে পাবনায় ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে, এতে বরাদ্দ করতে হয়েছে বিরাট অঙ্কের বাজেট। ফলে একসময়ের মলিন চেহারের স্কুল ভবন আর চোখে পড়ে না। এখন প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের নকশায় নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দর ভবন। শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুলভবন দেখেই আকৃষ্ট হয়।

পাবনার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলার সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা মিলিয়ে প্রায় ৩২৬টি প্রতিষ্ঠানে ৪৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নানামুখী উন্নয়ন কাজ চলছে, যা ৮০ শতাংশ কাজ শেষ, বাকিটা চলতি অর্থবছরেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাবনা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাবনায় শিক্ষাক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ও সুদৃশ্য ভবন দিয়ে জেলায় চিত্র পাল্টে ফেলা হয়েছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি কলেজের চারতলা নান্দনিক অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ, মাদরাসার নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিয়াপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাটমোহর এমকেআর মাদরাসার চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবন, হাজি মেহের উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়, আটঘরিয়া বেরুয়ান বালিকা বিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

সাঁথিয়া উপজেলার মিয়াপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুজিবর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন শুরু করেছেন, স্বাধীনতার পরে কোনো সরকার শিক্ষায় এমন নজর দেয়নি।’

চাটমোহর এমকেআর মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুল লতিফ বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষায় অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতায় শেখ হাসিনাকে স্মরণ করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করা, মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সব সুযোগ-সুবিধা এমনকি অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য।

ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম পিন্চু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মানোন্নয়নে যে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপির প্রচেষ্টায় সাঁথিয়াতেও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রয়েছে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

পাবনা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনানুসারেই মান ঠিক রেখে কাজ চলছে। প্রকল্পগুলো শেষ হলে শিক্ষার্থীরা সুন্দর পরিবেশে পড়ালেখা করতে পারবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close