বেনাপোল প্রতিনিধি

  ১২ জুন, ২০২১

নানা অপরাধেও অধরা এক প্রাইভেট কার

গত বুধবার বিকালে সিলভার রং ও হলুদ রং সংবলিত (লম্বালম্বি স্টাইফ) প্রাইভেট কারযোগে দিন-দুপুরে বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর-লক্ষণপুর সড়ক থেকে ফিল্মি স্টাইলে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। এ ব্যাপারে ওই স্কুলছাত্রীর মামা জিয়াউর রহমান জানান, তার ভাগনিকে কয়েকজন যুবক রাস্তার ওপর থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে গিয়ে তিনি গাড়ির রং ও গাড়ির নম্বর জানতে পারেন। এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো গাড়িটি সুপরিচিত। যার নম্বর যশোর গ-১১-০০৬১ (সিলভার ও হলুদ রং)। বিষয়টি জানিয়ে এরই মধ্যেই তারা বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বেনাপোল সীমান্তে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে ওই রহস্যময় প্রাইভেট কার। গাড়িটিতে একাধিক রং। সড়কে দাপিয়ে বেড়ালেও অজানা রহস্যে প্রাইভেট কারটির ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রোকনুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অপহৃত কিশোরের উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে। বর্ণনা অনুযায়ী গাড়িটি শনাক্ত হয়েছে, তবে সিলভার ও হলুদ রঙের প্রাইভেট কারসহ মালিক ও চালক পালিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে গাড়িটি আটক বা ভিকটিম উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুর জট খুলছে না বলে জানান তিনি।

বেনাপোল সীমান্তের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেন বিগত কয়েক মাস ধরে শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে মাদক বহন ও অপহরণের মতো নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওই প্রাইভেট কার।

সীমান্তজুড়ে এই অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার নেপথ্যে রয়েছে ঢাকা, যশোর ও বেনাপোলব্যাপী একটি শক্তিশালী চক্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য চক্রটির সঙ্গে জড়িত বলে গুঞ্জন রয়েছে। তাই মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়ালেও, বিভিন্ন বেআইনি কাজে জড়িত থাকলেও জবাবদিহি করতে হয় না।

একাধিক রং ব্যবহার বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর বিআরটি এর সহকারী ইন্সপেক্টর আবদুল মতিন জানান, গাড়ির কাগজপত্র বা ব্লু-বুকে উল্লিখিত একক রং ব্যতীত একাধিক রং ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অপরাধমূলক কর্মকান্ড, যা শাস্তিযোগ্য।

এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে দ্রুত ওই চক্রের হোতাদের মুখোস উন্মোচন করার দাবি এলাকার সুশীল সমাজের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close