মাদারীপুর প্রতিনিধি
স্পিডবোট দুর্ঘটনায় চালক কারাগারে
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি বোটচালক শাহ আলম মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আটক শাহ আলম মিয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভাতা ঈদগাহপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
এদিকে গত রবিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পাওয়ার পর রাতে নৌপুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই শিবচর থানায় তাকে সোপর্দ করে। গতকাল সোমবার তাকে মাদারীপুর আদালতে তোলা হয়।
শিবচর থানা সূত্র জানায়, স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত হন চালক শাহআলম। ডোপটেস্টের মাধ্যমে তার মাদক গ্রহণের বিষয়টি স্পষ্ট হলে দুর্ঘটনার পেছনে মাদকাসক্তের সম্পৃক্ততা মেলে। ওই সময় গুরুতর আহত চালককে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলে গত রবিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসক।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মে সকালে ঘাটে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে একটি দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায় এবং ২৬ জন নিহত হন। এছাড়া চালকসহ পাঁচজন আহত হন। মাদারীপুর কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, স্পিডবোট দুর্ঘটনার মামলায় চালক শহ আলমকে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। আসামি অসুস্থ থাকায় তাকে কারাগারে রেখে চিকিৎসার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে স্পিডবোটের মালিক চান্দু মিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে র্যাব। মামলার পর এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
"