জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেছেন, শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের ওপর অর্পিত বহুমুখী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই শান্তিরক্ষা বাজেট প্রয়োজন। গত সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের বাজেট সেশনে বক্তব্য দেন তিনি।

রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের ওপর অর্পিত বহুমুখী দায়িত্ব বাস্তবায়নে মিশনসমূহ যথোপযুক্ত বাজেট পেল কি না, তাও নিশ্চিত করা জরুরি।’

শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলো যাতে তাদের শান্তিরক্ষী ও সাজ-সরঞ্জাম মোতায়েনের অর্থ যথাসময়ে পায়, তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ বর্তমানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বের সাতটি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় সাত হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত ও নিবেদিতভাবে যে প্রচেষ্টাসমূহ চালিয়ে যাচ্ছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তাই এ বাজেট বরাদ্দকালে যাতে কোভিড-১৯ মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়; সে বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপসমূহের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশের ‘নারী, শান্তি ও সুরক্ষা’ বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মূল কৌশলের একটি। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিশেষ করে এর উচ্চপর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সবস্তরে নারীর পূর্ণ, কার্যকর এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ পরিষদের পঞ্চম কমিটির সভা প্রতি বছর মে মাসে হয়। সূত্র ইউএনবি নিউজ।

"