নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ মার্চ, ২০২১

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কোভিডকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় পর্যায়ে পাঁচজনকে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতার’ সম্মাননা দিচ্ছে সরকার। তারা হলেনÑ বরিশালের হাছিনা বেগম নীলা, বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত, পটুয়াখালীর মোসাম্মৎ হেলেন্নছা বেগম, টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিজান এবং নড়াইলের অঞ্জনা বালা বিশ্বাস। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ এই পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধান অতিথি হিসেবে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গতকাল রবিবার তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ জয়িতার নাম ঘোষণা করেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছেÑ ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’।

এ বছর অর্থনৈতিক অঙ্গনে সাফল্যের জন্য বরিশাল বিভাগ থেকে বরিশাল জেলার হাছিনা বেগম নীলা জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।

শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য রাজশাহী বিভাগের বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত পাচ্ছেন এ সম্মাননা। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই নারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসএস পড়ছেন।

সফল জননী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার মোসাম্মৎ হেলেন্নছা বেগম। তিনি তার ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের সবাইকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তার বড় ছেলে পুলিশের একজন অতিরিক্ত আইজিপি, মেজো ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন আছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষায়।

নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে সাফল্য পাওয়া টাঙ্গাইল জেলার রবিজান জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন খুলনা বিভাগের নড়াইলের অঞ্জনা বালা বিশ্বাস। তিনি নারীদের সেলাই ও হাতের কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য ১৯৭৫ সালে মাতৃকেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে নারী দিবসের অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে সংবাদপত্রে। টেলিভিশন ও বেতারে নারীর অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আলোচনা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মতো আয়োজন থাকছে। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হবে। দেশের সব জেলা ও উপজেলায় নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং এ বিষয়ে প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টিতে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close