বাসস

  ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

সেদিন প্রত্যুষে বেগম জিয়া বাইরে গেলেন কেন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের দিনে বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যুষে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলে যাওয়ার রহস্য বের হওয়া প্রয়োজন। বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকান্ডের দিনে বেগম জিয়া প্রত্যুষে কেন ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলে গিয়েছিলেন? তিনি কেন এদিন তারেক রহমানের সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ বার কথা বলছেন? এই রহস্যগুলো বের হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাহলেই মুখোশ উন্মোচিত হবে কারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল।’ গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুরপাড়ের বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকরা বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার করবে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ নানা ধরনের প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন, এই হত্যাকান্ডের পেছনে আরো কারা কারা আছে সেগুলো নিয়ে তারা ক্ষমতায় গেলে তদন্ত করবেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে এটি আমাদেরও প্রশ্ন, যিনি দুপুর পর্যন্ত ঘুমান অথচ সেদিন তিনি (খালেদা জিয়া) বিডিআর হত্যাকান্ডের আগে খুব সকালে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন কেন?’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তখন সদ্য সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ, আমাদের সরকারের তখনো দুই মাস পূর্তি হয়নি, প্রায় দেড় মাসের মাথায় এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল। এই হত্যাকান্ড সংগঠনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার এরই মধ্যে হয়েছে, দেশের ইতিহাসে নয় শুধু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নিরিখেও একটি হত্যাকান্ডের এতগুলো আসামির বিচার কম হয়েছে। বিশে^র অন্যকোনো দেশে এত আসামির বিচার কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল বিষয়টা আজ ১০ থেকে ১৫ বছর আগে ছিল না। সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিও ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে যখন একজন সাংবাদিকের চরিত্র হনন করা হয়, একজন গৃহিণীকে যখন অপবাদ দেওয়া হয়, একজন সাধারণ মানুষ যখন ডিজিটাল আক্রমণের শিকার হন, তিনি কোন আইনে প্রতিকার পাবেন, তখন কোন আইনের বলে নিরাপত্তা পাবেন, সেজন্য একটা আইনের দরকার। এই জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।’

মুশতাক আহমেদের মৃত্যু সত্যিই অনভিপ্রেত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি, সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি ছিল কিনা সেটা খুঁজে দেখা যেতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close