রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বিরাষ্ট্রীয়করণের সিদ্ধান্ত বাতিল, অবিলম্বে সব পাটকল চালু, আধুনিকায়ন, দৈনিকভিত্তিকসহ সব শ্রমিকের বকেয়া অবিলম্বে পরিশোধ, আলীম জুট মিলের শ্রমিকদের ৬৪ সপ্তাহের বিলসহ বকেয়া পাওনা পরিশোধ, বকেয়া ছয় সপ্তাহের মজুরি, উৎসব বোনাস, ইনক্রিমেন্ট এবং ২০২০ সালের জুলাইয়ের দুদিনের মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ ও পাটকল রক্ষা আন্দোলনের নেতাদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারসহ ১৪ দফা দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বদলি-অস্থায়ী-দৈনিকভিত্তিক শ্রমিক ও (শ্রমিক হাজিরা খাতায় কর্মচারী) সমন্বয় আঞ্চলিক কমিটি, খুলনা-যশোর অঞ্চলের উদ্যোগে নগরীর খালিশপুর পিপলস গোলচত্বরে এ শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বদলি শ্রমিক নেতা মো. ইলিয়াস হোসেন।

সভায় শ্রমিক নেতারা বলেন, ২৫টি পাটকল বন্ধের রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের কারণে আজ ৫০ হাজার বদলি-স্থায়ী ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিক কর্মহীন। শ্রমিকদের পাওনা প্রদানের ক্ষেত্রেও সরকার প্রতারণামূলক ব্যবস্থা জারি রেখেছে। এখনো ১৮ হাজার ২০০ বদলি শ্রমিকের বকেয়া পাওনার কোনো খবর নেই। ৭ হাজার দৈনিকভিত্তিক শ্রমিক জানেন না তারা আদৌ কোনো অর্থ পাবেন কি না। শঙ্কা, অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কলোনি থেকে উচ্ছেদ হওয়া শ্রমিকরা।

তারা বলেন, শ্রমিক পরিবারের জীবন ও জীবিকা চরম অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাঁপানি, অ্যাজমা, কিডনি রোগে আক্রান্ত সদস্যদের ওষুধ কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই।

নেতারা আরো বলেন, যারা সোনালি আঁশের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে ধ্বংস করতে তৎপর, তারা ইতিহাসে নব্য মীরজাফর হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

বক্তৃতা করেন পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা, মুনীর চৌধুরী সোহেল, এস এ রশীদ, জনার্দন দত্ত নান্টু, মোজাম্মেল হক খান, শ্রমিক নেতা আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

"