প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের রায়
যুক্তরাজ্যে আর ফিরতে পারবেন না শামীমা
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে যোগ দিতে লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় যাওয়া ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম আর যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না। গতকাল শুক্রবার এ রায় ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশের এই তরুণী। বর্তমানে ২১ বছর বয়সি শামীমা এখন উত্তর সিরিয়ায় একটি ক্যাম্পে বন্দি। শামীমার দাবি, ব্রিটিশ সরকারের বে-আইনি সিদ্ধান্তে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন এবং তার মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
আইএসে যোগ দিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে শামীমা স্কুলের দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমান। ছয় বছর পর দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তার ফেরা নিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানায়। শামীমা এখন সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ক্যাম্পে দুর্গত অবস্থায়। তার স্বামী সিরীয় কারাগারে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং তাদের তিনটি সন্তানই মারা গেছে। সিরিয়ায় যুদ্ধের একপর্যায়ে তিনি বন্দি হন। তবে তার দাবি, আইএসের কাছে কার্যত জিম্মি থেকে একসময় পালিয়ে তিনি একটি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন।
শামীমা বেগমের আইনজীবীদের যুক্তি, শুনানিতে অবাধে অংশ নিতে না পারলে এ নারীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল হয়ে যাবে।
শামীমা ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। তবে দেশটির সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। এরপর বিষয়টি আদালতে গড়ায়। তবে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দেয় যুক্তরাজ্যের এক আদালত। রায়ে আদালত জানায়, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের ফলে শামীমা বেগম রাষ্ট্রহীন হয়ে যাননি। বংশগতভাবে তিনি ‘বাংলাদেশের নাগরিক’। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন।
তবে শামীমা বেগমের বিষয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই বলে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছিলেন, শামীমা সে দেশের (যুক্তরাজ্যের) নাগরিক। তিনি কখনো বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি। কাজেই তাকে নিয়ে বাংলাদেশের কিছু করার নেই।
"