রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

  ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

নতুন উপাচার্য পাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

২০১৭ সালের ৭ মে দ্বিতীয়বারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান। ওই নিয়োগের চার বছর শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৭ মে।

এদিকে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলছে আগামী ১৭ মে। এরপর ২৪ মে ক্লাস শুরু।

বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই নতুন উপাচার্য পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে নতুন উপাচার্য নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিশ্লেষণ।

উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, নিয়ম হলো সিনেটের মাধ্যমে নির্বাচিত উপাচার্য প্যানেল থেকে নিয়োগ দেওয়ার। তবে এখন বিভিন্ন কারণে সেটি হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে সরকার যাকে ভালো মনে করবে তাকেই এ পদে নিয়োগ দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩-এর আইনে পরিচালিত চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট কর্তৃক তিনজনের একটি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচিত হয়। সেখান থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেন চ্যান্সেলর অর্থাৎ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তবে গত কয়েক দশক ধরে সিনেট গুরুত্ব না পাওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে লবিং ও তদবির উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে বেশি কার্যকরী হয়েছেন বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ পদে নিয়োগ পেতে এরই মধ্যে সরকার সমর্থক শিক্ষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। তবে একাধিক সূত্র বলছে, কয়েকজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে উপাচার্য পদের জন্য সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. জিনাত আরা, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী সরওয়ার জাহান, বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক শফিকুন্নবী সামাদী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নবনির্বাচিত আহ্বায়ক প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপাচার্যের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক আন্দোলনের আহ্বায়ক ও ভূতত্ত এবং খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম টিপুর নাম সামনে আসছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close