প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

বিশ্বমানের ‘ট্যুরিস্ট জোন’ হচ্ছে পতেঙ্গায়

লক্ষ্য বিদেশি পর্যটক টানা

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। যেখানে ছুটির দিন তো বটেই, প্রতি বিকালেই ঢল নামে নানা বয়সি মানুষের। তবে যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে এই সমুদ্রসৈকতে বিনোদনের তেমন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ফলে তেমন টানে না চট্টগ্রামের বাইরের পর্যটকদের। এমন বাস্তবতায় পতেঙ্গা সৈকতসহ আশপাশের ছয় কিলোমিটার অংশ ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সিডিএ। যেখানে হবে পরিকল্পিত পর্যটনকেন্দ্র। যার দুই প্রান্তে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধাসহ বিশেষ ট্যুরিস্ট জোন। যাতে থাকবে বিনোদনের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রিক্রিয়েশন জোনের দুই প্রান্তে থাকবে বিশেষায়িত সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে স্পেশাল জোন। প্রবেশেও থাকবে বিশেষ চার্জ।

চট্টগ্রাম শহর থেকে দক্ষিণে মাত্র ১৪ কিলোমিটার গেলেই পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। শহরের এত কাছে এত বড় পর্যটনকেন্দ্র পাওয়া কঠিন। তাই স্থানীয়রা অনেকেই বন্ধুবান্ধব অথবা পরিবারসহ বিকালের সময়টা সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য সেখানে ঘুরতে যান বলে জানান অনেকেই।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য স্থপতি আশিক ইমরান বলছেন, এখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মাণ করা হবে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। থাকবে কনফারেন্স রুম, সিনেপ্লেক্সসহ পর্যটনবান্ধব নানা উপকরণ।

তবে নগরবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের মতে, সমুদ্রসৈকতের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থানে প্রবেশ ফি ধার্য করা উচিত হবে না।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়া শফিউল আলম গিয়েছিলেন ১২ জন বন্ধু নিয়ে। তিনি জানান, এবারই তার প্রথমবার পতেঙ্গায় যাওয়া। ভ্রমণটিকে স্মরণীয় করে রাখতে রোদচশমা এবং গিটার ভাড়া করে বেশ কিছু ছবি তোলেন তিনি। পতেঙ্গা সৈকতে এসে স্পিডবোটে করে ঘোরেন অনেক পর্যটক। কিন্তু প্রায় ৫০টি স্পিডবোট থাকলেও কোনোটিতেই পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট নেই। অতিরিক্ত গতির কারণে স্পিডবোটগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটতেও শোনা যায় বলে জানান দর্শনার্থীরা। সূত্র : চ্যানেল টুয়েন্টিফোর অনলাইন।

টুকিটাকি : সূর্যাস্ত দেখা : সমুদ্রসৈকতের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ তীরে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা। অনেককেই অধীর আগ্রহে এজন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে যাওয়া নাসিরউদ্দীন খান জানান, নিজের চোখে সূর্যাস্ত দেখার যে আনন্দ, সেটা ছবি বা অন্য মাধ্যমে দেখতে পাওয়া যায় না।

ভিড় থাকে সন্ধ্যার পরও : পতেঙ্গা সৈকত থেকে শহরে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেককেই নির্বিঘেœ সন্ধ্যার পরও সৈকতে অবস্থান করতে দেখা যায়। একজন জানালেন, আগে এখানে আসার রাস্তা বেশ খারাপ ছিল। দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার কারণে রাস্তা মেরামত করা হয় এবং সৈকতের সার্বিক নিরাপত্তা আগের চেয়ে ভালো বিধায় দেরি করলেও তেমন সমস্যা হয় না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close