ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
হাতিতে চড়ে বাল্যবিয়ে, পুলিশে পন্ড আনন্দ
পেশায় হোটেল শ্রমিক নাম সম্রাট। সার্কাসের হাতি ভাড়া করে গিয়েছিলেন বিয়ে করতে। কনের বয়স কম থাকায় পুলিশের হস্তক্ষেপে পন্ড হয়ে যায় বিয়ে বাড়ির আনন্দ আর হাতি নিয়ে মাহুত ফিরে যান সার্কাসে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙামোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী গ্রামে। কনে মিয়ার মেয়ে আদুরী আক্তার (১৬), দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বর নাগেশ্বরীরর নেওয়াশী ইউনিয়নের ঠকটারি গ্রামের কৃষক বন্ধ খানের ছেলে সম্রাট। সম্রাট বর সেজে সার্কাসে হাতি ভাড়া করে বিয়ের উদ্দেশে রওনা হন। উৎসুক জনতা হাতির পিঠে থাকা বরকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। বরের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে থাকে সবাই। নিমিষেই জানাজানি হয়। অনেকে জানতে পারে কনের বয়স ১৬ বছর।
কনের দুলাভাই হাফিজুল ইসলাম জানান, ফুলবাড়ীর বড়ভিটা কলেজ মাঠে আয়োজিত স্থানীয় একটি সার্কাসের হাতি ১৫ হাজার টাকায় ভাড়া করে তার পিঠে চড়ে বিয়ে করতে আসে সম্রাট। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশের আসার খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে সবাই পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু জানান, হাতির পিঠে আসা বর সম্রাট এর সঙ্গে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদ পাই। গ্রাম পুলিশকে বিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান তিনি। তবে পুলিশ আসার খবরে বর পক্ষ ও কনে পক্ষ দ্রুত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিয়ে বাড়ি ত্যাগ করে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবরে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু পুলিশ গিয়ে বিয়ে বাড়িতে কাউকে পায়নি। তবে জানতে পেরেছি পুলিশ যাওয়ার আগেই বিয়েসম্পন্ন করে উভয় পক্ষ সটকে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান জানান, বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও দেখা যায়নি।
"