রংপুর ব্যুরো

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২১

রংপুরে মরা তিস্তা পুনঃখনন শুরু

রংপুরে সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে মৃতপ্রায় মরা তিস্তা নদী পুনঃখনন শুরু করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। পৌনে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই খাল খননে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার দুপুরে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) এর উদ্বোধন করেন।

‘ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার নদী পুনঃখনন কাজ করছে বিএমডিএ। চলতি অর্থবছরে এই প্রকল্পের আওতায় ২০ কিলোমিটার খাল, তিনটি বিল, ১০টি পুকুর, ১০টি সৌরশক্তিচালিত এলএলপি, ১০টি বিদ্যুৎচালিত এলএলপি, ১০টি সৌরশক্তিচালিত পাতকুয়া স্থাপন এবং ৩১ হাজার বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।

উদ্বোধনীতে এমপি ডিউক জানান, প্রকল্পের আওতায় বদরগঞ্জ উপজেলায় ৩৮ কিলোমিটার খাল, তিনটি বিল, ১৩টি পুকুর পুনঃখনন এবং ৩০০ কৃষককে আধুনিক চাষাবাদ ও কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া খালে পানি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ক্রসড্যাম নির্মাণ ও জনগণের পারাপারের জন্য ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো জানান, খননকৃত খাল, বিল ও পুকুরের ধারে ৬৭ হাজার ফলদ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করা হবে; যা অতিরিক্ত বনজ সম্পদ সৃষ্টি, পরিবেশ উন্নয়ন ও পুষ্টিমান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

বিএমডিএ রংপুর সার্কেলের ইআইআরপি প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান জানান, খাল বিল ও পুকুর পুনঃখনন করা হলে পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম হবে, জলাবদ্ধ জমিগুলো কৃষি উপযোগী হয়ে উঠবে, সঞ্চিত পানি সেচ কাজের পাশাপাশি হাঁস চাষ, মৎস্য চাষ ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে ও ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। এর মাধ্যমে প্রতি কিলোমিটার খালের পানিতে প্রায় ১ হাজার একর জমিতে সম্পূরক সেচ প্রদান করা সম্ভব হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি সুইট, বদরগঞ্জ পৌরসভা মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইআইআরপি প্রকল্প পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান, বিএমডিএ রংপুর সার্কেলের নির্বাহী প্রকৗশলী মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

প্রকল্প কর্মকর্তাদের সূত্র জানায়, ‘ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় বৃহত্তর রংপুরের পাঁচ জেলার (রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা) ৩৫টি উপজেলায় খাল, বিল পুকুর পুনঃখনন কাজ, এলএলপি স্থাপন, পাতকুয়া স্থাপন, ফুটওভার ব্রিজ, ক্রসড্যাম নির্মাণ ও বৃক্ষরোপণ কাজ করা হবে। এতে মজুদ পানি ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর পুরনায় ভর্তি করতে ভূমিকা রাখবে

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close