প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০১ অক্টোবর, ২০২০

বিপৎসীমার ওপরে এখনো ৯ নদী

যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উভয় নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র তাদের এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত ৯টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছিল। গাইবান্ধায় করতোয়া ঘাঘট ব্রহ্মপুত্র তিস্তাসহ জেলার সব কয়টি নদীর পানি বাড়ছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধায় করতোয়া, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘটসহ জেলার সবগুলো নদীর পানি বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রের পানি অনেকটা বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার চরাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো ডুবে গেছে। ফলে ওইসব এলাকার সহস্রাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। অপরদিকে করতোয়া নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত, শিবপুর, সাপমারা, নাকাই, কাটাবাড়ী, ফুলবাড়ী, হরিরামপুর, মহিমাগঞ্জ, রাখালবুরুজ, শালমারা, তালুকানুপুর এবং পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি ও হোসেনপুর ইউনিয়নের আরো নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালসহ পৌরসভার বেশকিছু এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়া গোাবিন্দগঞ্জ ঘোড়াঘাট দিনাজপুর উপ-মহাসড়কের চার মাথা এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে গোবিন্দগঞ্জের নদী তীরবর্তী ১৮টি গ্রামের কলা, আখ ও রোপা আমনসহ বিভিন্ন শাকসবজি খেত তলিয়ে গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close