নিজস্ব প্রতিবেদক
হিন্দু পরিষদ
সংখ্যালঘু নির্যাতনে শাস্তি দাবি
দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ‘প্রকৃত দোষীদের’ বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা।
সাভারের স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদের পাশাপাশি দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি
এবং ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সভাপতি দীপংকর শিকদার দীপু বলেন, ‘আমরা আশা করি, সরকার নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চলমান নির্যাতন বন্ধ এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’
‘মিথ্যা ও উসকানিমূলক’ মামলায় যেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘হয়রানি’ করা না হয়, সেই আহ্বান জানান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র। হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সুমন কুমার রায় হিন্দু মন্দির ভাঙচুর, বাড়িঘর ও শ্মশানের জমি বেদখল, দেশত্যাগের হুমকি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই দিনে বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নীলা রায় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে। এ সমাবেশে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বলেন, ‘আজকে সিলেটে, ফরিদপুরে কন্যাশিশু অপহরণ ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। নীলা রায়কে হত্যা করা হয়েছে। এসবের বিচারে যেন দীর্ঘসূত্রতা না আসে। এতে জনমনে হতাশা বাড়ে।’
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়া গত রোববার সাভার পৌর এলাকার পালপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্রী নীলা রায়কে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
"