নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ আগস্ট, ২০২০

পাইকগাছায় মানববন্ধন

সামাজিক উন্নয়নে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। এতে ঝুঁকি বাড়ছে এই অঞ্চলের প্রাণ ও প্রকৃতির। বিস্তীর্ণ উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষাসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। গতকাল বুধবার পাইকগাছা স্মৃতিসৌধের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এ দাবি জানান নাগরিক সমাজ ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা। নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান লিপীকা ঢালী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বুলু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য সাকিলা পারভীন, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, বেসরকারি সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, জনউদ্যোগের মহেন্দ্রনাথ সেন, নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট প্রশান্ত মন্ডল, কৃষক নেতা কৃষ্ণপদ মন্ডল, পাইকগাছা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি আবদুল আজিজ, তালা প্রেস ক্লাবের টিপু সুলতান, কপিল মুনির সাংবাদিক তপন পাল, হরিঢালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরদার মোজাফ্ফর হোসেন, ইউপি সদস্য রাজীব গোলদার, অধ্যক্ষ মো. শিমুল বিল্লাহ বাপ্পি, নাগরিক নেতা আবদুল মজিদ, প্রদীপ দত্ত, আবুল কাশেম গাজী, রবীন মন্ডল, শেখ আসানুর রহমান, মৃণাল গাইন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। দুর্গত এলাকায় এখনো মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। সুপেয়পানির সংকটে ভুগছে সমগ্র এলাকাবাসী। তারা আরো বলেন, উপকূলী জেলাগুলোতে লবণপানির বাগদা চিংড়ি রফতানি করে সরকার প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। কিন্তু সেই চিংড়ি চাষ এ এলাকায় লবণপানি উত্তোলনের জন্য যে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ পানির সংকট তৈরি হয়েছে, সেই সংকট উত্তরণে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঝুঁকিতে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনসহ সমগ্র উপকূল। এ অবস্থায় হাওর উন্নয়ন বোর্ডের ন্যায় উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা জরুরি বলে তারা দাবি করেন। বক্তারা বলেন, যতই সংস্কার করা হোক না কেন, ষাটের দশকে তৈরি করা আয়তনে ছোট উপকূলীয় বেড়িবাঁধ কোনোভাবেই ওই অঞ্চলকে সুরক্ষা দিতে পারবে না। তাই দ্রুত জলবাযু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বিবেচনায় রেখে নতুন পরিকল্পনায় বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। একই সঙ্গে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close