নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ এপ্রিল, ২০২০

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে বেড়েছে এই দাম। প্রায় পক্ষকাল আগে নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে বাজারে এই পণ্যটির দাম কমে আসে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে কারসাজির কারণে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকার পেঁয়াজ বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিম ও র‌্যাবসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এক যোগে পেঁয়াজের আড়ৎ-পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান চালায়। দাম কারসাজির অপরাধে জেল-জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসে।

কেজিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় নেমে আসে পেঁয়াজের দাম। এরপর আবারও গত সপ্তাহ থেকে অস্থির হতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার। ধাপে ধাপে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

মুগদার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মিজান গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আজকে আড়তেই পাইকারি কেনা পড়েছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। গাড়িভাড়া খরচ মিলিয়ে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা পড়ে গেছে। তাই ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তিনি।

পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে খুচরা এ বিক্রেতা বলেন, আড়তে দাম কম থাকলে আমরাও কম দামে বিক্রি করি। গত সপ্তাহে ৩৫ টাকাও বিক্রি করেছি। এখন কেনা বেশি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।

দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মেসার্স আলী ট্রেডার্সের পরিচালক মো. সামসুর রহমান জানান, ভারতের পেঁয়াজ সরবারহ কম। দেশি পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা পূরণ হচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসন ঠিকমতো হাটবাজার বসতে দিচ্ছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবারহ কম। এছাড়া পরিবহন ভাড়াও আগের চেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে দাম বেশি।

এদিকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা বলেন, এখন পেঁয়াজের মৌসুম। বাজারে পেঁয়াজের কোনো অভাব নেই। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন দাম ৬০ টাকা। এক সপ্তাহে ব্যবধানে এত টাকা বেশি দামে কিনতে হলো। কারণ কী? সুযোগ পেলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই সরকারের উচিত এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া। তা না হলে আবারও সুযোগ নেবেন অসৎ ব্যবসায়ীরা।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত রফতানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে অস্বাভাবিক বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। রেকর্ড ২৫০ টাকায় পৌঁছে যায় পেঁয়াজের কেজি। পরে জরুরি আমদানি ও সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ এবং নতুন পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় প্রায় ৫ মাস পর নিয়ন্ত্রণে আসে পেঁয়াজের বাজার। সামনে প্রবিত্র রমজান মাস। প্রতি বছরই রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। তাই এখন যদি সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আবার অস্থির হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close